‘বামফ্রন্টে আছি, জোটে নেই’, গর্জনই সার, ৪৪ বছরের সম্পর্ক ভাঙতে পারল না ফরওয়ার্ড ব্লক
আইএসএফ বা কংগ্রেসের মতো দলের সঙ্গেই যদি জোট বেঁধে থাকতে হয়, সেক্ষেত্রে বামফ্রন্ট রাখারই দরকার নেই।
কলকাতা: গর্জন-তর্জনই সার। বামফ্রন্টের সঙ্গে ৪৪ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করার দরজায় এসেও শেষ পর্যন্ত তা করল না ফরওয়ার্ড ব্লক। বামেদের সঙ্গে ফ্রন্টে থাকলেও দল জোটের অংশীদার থাকবে না বলে শনিবার জানিয়েছেন ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করেছেন, আইএসএফ বা কংগ্রেসের মতো দলের সঙ্গেই যদি জোটবদ্ধ থাকতে হয়, সেক্ষেত্রে বামফ্রন্ট রাখারই দরকার নেই।
তবে ফরওয়ার্ড ব্লকের আজকের অবস্থান নতুন করে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেছে। কার্যত সব সম্পর্ক ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দিলেও কেন নরেন চট্টোপাধ্যায় ফের সুর নরম করলেন, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তা নিয়েও। শনিবার দুপুর সাড়ে ৩ টে নাগাদ ফ্রন্ট থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কথা ছিল ফরওয়ার্ড ব্লকের। কিন্তু সাংবাদিক বৈঠকে এ দিন নরেন জানান, “এখনও দাঁড়ি টেনে দেইনি। বামফ্রন্ট নিজের মতোই চলবে বলে আশ্বাস দেওয়া পেয়েছি। যখন দেখব অন্য দল আসছে, তখন ভেবে সিদ্ধান্ত।” তাঁর আরও সংযোজন, “বামফ্রন্টে থাকবো, কিন্তু জোট বা মোর্চায় নয়। বামফ্রন্টই আসল জোট।”
এখানেই প্রশ্ন উঠছে, ফরওয়ার্ড ব্লক তো বামফ্রন্টেই ছিল। আজকের পরও তারা বামফ্রন্টেই থাকছে। তাহলে আচমকা ঢাকঢোল পিটিয়ে সাংবাদিক বৈঠক কেন করা হল? এই প্রশ্নের কোনও উত্তর অবশ্য খোলসা করে দেওয়া হয়নি। ভবিষ্যতের নির্বাচনে বামেরা আইএসএফ বা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করবে, নাকি এককভাবে লড়বে, তারও কোনও জবাব পাওয়া যায়নি। সমগ্র বিষয়টিই কার্যত ধোঁয়াশায় রয়ে গিয়েছে।
আরও পডুন: সবুজ জার্সিতে ফের ‘খেলা’ শুরু মুকুলের, রাতেই এক ঝাঁক বিজেপি সাংসদ-বিধায়কদের ফোন
তবে আজকের সাংবাদিক বৈঠকে অন্য একটি বিষয় আবারও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তা হল- একুশের ভোটে বামেদের ভরাডুবির জন্য আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে হাত মেলানোকেই দায়ী করেছে ফরওয়ার্ড ব্লক। একই সুর বাকি শরিকদেরও। ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকে বাম শরিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফোঁস করেছে ফরওয়ার্ড ব্লকই। দিনকয়েক আগে আলিমুদ্দিনে হওয়া একটি বৈঠকে ফাটল পরিষ্কার হয় যখন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর কাছে লিখিত জবাব তলব করে শরিকরা।
আরও পডুন: ‘ওনার দীর্ঘদিনের রোগ,’ মুকুলের ফুলবদলে নীরবতা ভাঙলেন শুভেন্দু