AIDSO: চুলের মুঠি ধরে মারের অভিযোগ প্রমাণিত, মেদিনীপুরে পুলিশি লক আপে AIDSO-র নেত্রীদের মারধরের মামলায় সিট গঠনের নির্দেশ
AIDSO: যাদবপুরের ঘটনার প্রতিবাদ করায় সুচরিতাকে পুলিশ চুলের মুঠি ধরে মার প্রমাণিত বলে আদালত জানাল। কুহেলি সাহা নামে এক মহিলা পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, তিনি চুল ধরেছিলেন সেটা প্রমাণিত।

কলকাতা: মেদিনীপুরের পুলিশ লক আপে AIDSO-র নেত্রীদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ মামলায় সিট গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চ। সুচরিতা দাস ও সুশ্রীতা সোরেনর উপর পুলিশ নির্যাতনের ঘটনা প্রমাণিত। এই ঘটনায় সিট গঠন করা হয়েছে। বিশেষ তদন্তকারী দলের নেতৃত্ব দেবেন আই জি পি মুরলীধর শর্মা।
যাদবপুরের ঘটনার প্রতিবাদ করায় সুচরিতাকে পুলিশ চুলের মুঠি ধরে মার প্রমাণিত বলে আদালত জানাল। কুহেলি সাহা নামে এক মহিলা পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, তিনি চুল ধরেছিলেন সেটা প্রমাণিত। মেদিনীপুর মানবাধিকার কোর্ট বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। মামলায় ক্ষতিপূরণ সহ বাকি আবেদন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ পরে শুনবেন।
প্রসঙ্গত, যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে সামিল হওয়ায় AIDSO-র মহিলা সদস্যের ওপর অকথ্য অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে। মোমের ছ্যাঁকা থেকে শুরু করে চুল ধরে শূন্যে উঁচু করে পায়ের তলায় মার দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ভয়ঙ্কর অভিযোগ করেন এআইডিএসও-র নিগৃহীত চার মহিলা কর্মী সমর্থক। সাংবাদিক বৈঠক করে প্রথমে লকআপে পুলিশের নৃশংস অত্যাচারের অভিযোগ সামনে আনেন তাঁরা। এমনকি নিগৃহীতারা রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঘোরার পরও, তাঁকে চিকিৎসা করে কোনও ইনজুরি রিপোর্ট দেয়নি বলেও অভিযোগ তোলেন তাঁরা। আদালতেও সেই বিষয়টি তুলে ধরেন।

