Murder Case: প্রেমিককে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ, দমদমে গ্রেফতার যুবতী
Murder Case: শনিবার সংহতিকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এলাকার বাসিন্দাদের অনেকেই বলছেন, তাঁরা জানতেন সংহতি ও স্বার্থক স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু, এখন তাঁদের বিয়ের কথা শুনে চোখ কপালে তুলছেন অনেকেই।
দমদম: দমদমে যুবক খুনে শোরগোল। অভিযোগের তির বান্ধবীর দিকে। মৃত যুবকের নাম স্বার্থক দাস (৩০)। দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর ধরে সার্থক তাঁর বান্ধবী সংহতি পালের সঙ্গে নাগেরবাজারের এলাকায় একটি ফ্ল্য়াটে ভাড়া থাকতেন। সূত্রের খবর, সম্প্রতি তাঁদের মধ্যে কোনও এক বিষয় নিয়ে প্রবল অশান্তি হয়। অভিযোগ, এরইমধ্যে বুধবার ভোর রাতে সার্থক দাসকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে সংহতি পাল। খবর যায় পুলিশে। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে আসে নাগেরবাজার থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় সংহতি পালকে। মৃত যুবককে উদ্ধার করে সাগর দত্ত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
শনিবার সংহতিকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এলাকার বাসিন্দাদের অনেকেই বলছেন তাঁরা জানতেন সংহতি ও স্বার্থক স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু, এখন তাঁদের বিয়ের কথা শুনে চোখ কপালে তুলছেন অনেকেই। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলছেন, আমরা তো জানতাম মেয়েটা ছেলেটার বউ। কিন্তু এখন শুনছি বউ নয়। ঘটনার পর অ্যাম্বুলেন্স এল। দেহটা নিয়ে যায়। পুলিশ এসে মেয়েটাকে ধরে নিয়ে গেল।
কিন্তু, ঠিক কী কারণে খুন তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ত্রিকোণ প্রেম থেকে সাংসারিক ঝামেলার কোথাও শোনা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। কতদিন থেকে তাঁরা সম্পর্কে ছিলেন সে বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এলাকার লোকজনকেও। স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় বোস বলছেন, “আমরা তো সকালে ঘটনার কথা শুনি। ওর একসঙ্গে থাকতেন। তবে বিয়ে করেছিলেন নাকি লিভ ইনে থাকতেন বলতে পারব না। ওরা চারতলায় থাকতেন। আমরা তো নিচে থাকি। তবে ভিতরের কী গল্প খুব একটা জানি না।”