কলকাতা: নার্সিংহোম থেকে রোগী ডিসচার্জকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা মহেশতলায়। অভিযোগ, নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালানো হয়। পাল্টা রোগীর পরিবারের অভিযোগ, রাস্তায় ফেলে তাদের মারধর করে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। রবীন্দ্রনগর হাউজিং পাড়ার বাসিন্দা আবেদা বিবি। গত ২ তারিখ শ্বাসকষ্ট নিয়ে মহেশতলার ওই নার্সিংহোমে ভর্তি হন। রবিবার বিকালে তাঁকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কথা। সেই মতো প্রক্রিয়া এগোচ্ছিল। অভিযোগ, সেই সময়ই কর্তৃপক্ষ ও রোগীর পরিবারের লোকজনের মধ্যে তুমুল ঝামেলা বাধে। রোগীর আত্মীয়রা হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।
রোগীর এক আত্মীয়ের দাবি, “নার্সিংহোমের লোকেরা বলছিল বিলের টাকা না মেটানো অবধি রোগীকে ছাড়বে না। আর যদি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখিয়ে টাকার কথা বলেন তাহলে সোমবার টাকা কেটে তারপর ছাড়ব।” এই নিয়েই শুরু হয় ঝামেলা। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়, রোগী যদি না ছাড়ার হত তাহলে রেফার কেন করা হবে। নার্সিংহোমের চিকিৎসক এসএন শর্মার কথায়, “এক মহিলা খুবই খারাপ অবস্থায় এখানে ভর্তি হন। আমরা এখানে যা যা করি। সময়মতো রোগীর পরিবারকে জানাই যে রোগীর অবস্থা খারাপ। শনিবারই তাঁকে রেফার করা হয়। অথচ রবিবার বিকাল অবধি রোগীর আত্মীয়রা তাঁকে নিয়ে যাননি।” এই ঘটনায় অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে বলেই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি।
সালমা বিবি নামে রোগীর এক আত্মীয়ের কথায়, “এখানে বলল পেটে জল জমেছে। ইনফেকশন হয়ে গিয়েছে। এখানে অপারেশনও হয়। এরপর শনিবার দুপুর থেকে বলছে রোগীর অবস্থা খারাপ। আর ইচ্ছামতো বিল করছে। আমরা বললাম, রোগীর যখন খারাপ অবস্থা ছেড়ে দিন। বলছে টাকা না মেটানো অবধি ছাড়বে না। এ নিয়ে একটু চিৎকার হয়। এরপরই ওনারা মারধর করতে শুরু করে। ভিতরে আমাদের লোকজনকে আটকেও রাখে।” সালমা বলেন, কেউই ভাঙচুর করেনি। ধাক্কাধাক্কিতে কিছু পড়ে গিয়ে থাকতে পারে। মহেশতলা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।