AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Amit Shah in Bengal: শুভেন্দু দাঁড়ালেই ভয় পান দিদি: অমিত শাহ

Amit Shah in Bengal: মঞ্চে শাহের ঠিক পিছনের সারিতে দেখা যায় কালিয়াগঞ্জে উপনির্বাচনে বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হওয়া আশিস ঘোষকেও।

Amit Shah in Bengal: শুভেন্দু দাঁড়ালেই ভয় পান দিদি: অমিত শাহ
ভাষণ শাহেরImage Credit: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Jun 01, 2025 | 5:13 PM
Share

কলকাতা: নিউটাউন হয়ে সরাসরি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম। রবিবাসরীয় দুপুরে নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করতে সাংগঠনিক সভায় যোগ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন শাহের ঠিক পাশেই বসে থাকতে দেখা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। মঞ্চে শাহের ঠিক পিছনের সারিতে দেখা যায় কালীগঞ্জের উপনির্বাচনে বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হওয়া আশিস ঘোষকেও।

এদিন ভাষণের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রীর দিকে আক্রমণ শানান অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘বিধানসভায় শুভেন্দু দাঁড়ালেই ভয় পান দিদি। গণতন্ত্রে হিংসার কোন ঠাঁই নেই। হিংসা ছাড়া ভোট করান, বুঝে যাবেন বাস্তবটা।’ সামনেই নির্বাচন। হাতে আর একটা বছরও নেই বললেই চলে। তবে সেই বাংলার নির্বাচন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী শাহ। এদিন তিনি বলেন, ‘ছাব্বিশে বিজেপিই আসবে। আর তারপর নির্বাচন পরবর্তী হিংসা খুন হওয়া বিজেপি নেতা-কর্মীদের হত্যাকারীদের খুঁজে খুঁজে সাজা দেবে।’

সাংগঠনিক সভা থেকে সিঁদুরের সাফল্য় নিয়েও প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন শাহ। পাকিস্তানকে যেভাবে শায়েস্তা করেছে ভারত, সেই নিয়ে মোদী সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করতে দেখা যায় তাঁকে। পাশাপাশি, সেই একই সময় সিঁদুরের সাফল্যকে ‘অপমান’ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দিকে তোপ দাগেন তিনি। শাহের কথায়, ‘সিঁদুর নিয়ে রাজনৈতিক মন্তব্য করেন মমতা। মুসলিমদের খুশি করতে অপারেশন সিঁদুরের বিরোধিতা করেন।’

নির্বাচনই ভবিষ্যৎ নয়। বাংলা নিরাপত্তার দিক থেকে একটা বড় ভূমিকা পালন করে। রবিবার সভা থেকে তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতৃত্বের দিকে তোপ দেগে শাহের দাবি, ‘বাংলায় শুধু নির্বাচন নয়, নিরাপত্তাও ফ্যাক্টর। বছর বছর ধরে ওনার আর্শীবাদে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়ছে। যাতে ওনাদের ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি চলতে থাকে। কিন্তু এটা বেশিদিন চলবে না।’

বাংলায় বিজেপির জয় যে খুব শীঘ্রই হবে, সেই নিয়েও একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি। শাহ বলেন, ‘২০১৭ সালের নির্বাচনের পর আমরা ১৯-এর লোকসভার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। এরপর একুশের বিধানসভায় আমরা ৭৭টি আসনে জয় লাভ করি। এরপর ২৪-এর লোকসভায় ৯৭ বিধানসভা আসনে বিজেপি এগিয়ে ছিল। ১৪৩টি আসনে ৪০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছি আমরা। অর্থাৎ, লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আর কিছুটা এগোলেই আগামী নির্বাচনে আমাদের সরকার তৈরি হবে।’

মুর্শিদাবাদের হিংসা রাজ্যকে বারংবার বিএসএফ মোতায়েন পরামর্শ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু সেই পরামর্শ ফিরিয়ে দেয় বলেই রাজ্য সরকারের দিকে রবির বৈঠক থেকে অভিযোগ তোলেন শাহ। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এক কর্মকর্তা হাইকোর্টে গেল বলে বিএসএফ এল ও হিন্দুদের বাঁচাল। আমার বলতে কোনও দ্বিধা নেই, যেভাবে বাংলার মন্ত্রীরা এই সাম্প্রদায়িক হিংসায় যুক্ত ছিল, তাতে এটা কার্যত স্পষ্ট এটা স্টেট স্পনসরড হিংসা। সন্দেশখালিতে যা হয়েছে তা তৃণমূল ঘটিয়েছে। আরজি কর হচ্ছে আর উনি ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে ব্যস্ত।’