Anubrata Mandal Heath Update: মাঝে মাঝেই অক্সিজেন লাগছে, উডবার্নে কেমন আছেন অনুব্রত?
Firhad Hakim: এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন অনুব্রত। মাঝে মাঝেই তাঁর অক্সিজেনের দরকার পড়ছে। পিঠেও যন্ত্রণা রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
কলকাতা : সিবিআইয়ের পঞ্চম নোটিস পাওয়ার পরও হাজিরা দেওয়া সম্ভব হয়নি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal)। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁকে হাজিরার দিন সকালে ভর্তি করানো হয় এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে। এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন অনুব্রত। মাঝে মাঝেই তাঁর অক্সিজেনের দরকার পড়ছে। পিঠেও যন্ত্রণা রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতি তাঁর শরীরের এমআরআই করানোর দরকার হলেও বর্তমানে তাঁর স্বাস্থ্যের কারণে তা করানো সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে বিকল্প চিকিৎসার কথা ভাবছেন চিকিসকরা। এর পাশাপাশি সিটি স্ক্যানেরও দরকার আছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। আগামী সোমবার অনুব্রত মণ্ডলের সিটি স্ক্যান হওয়ার কথা।
এদিকে অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অবস্থার উপর নজর রাখার জন্য আগেই এসএসকেএমে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠিত হয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে ওই মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা আবার সব পরীক্ষার রিপোর্ট খতিয়ে দেখেবেন। শনিবার চিকিৎসকরা যখন অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন, তখন তৃণমূল নেতার পিঠের ব্যাথার কথা তাঁরা জানতে পারেন এবং এই পিঠ ব্যাথা তাঁদের যথেষ্ট ভাবাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এই ব্যাথ্যা কেন হচ্ছে, তা স্পষ্ট হওয়ার জন্য এমআরআই করা অত্যন্ত দরকার। কিন্তু বর্তমানের যা পরিস্থিতি, তাঁর যা শারীরিক অবস্থা, তাতে অনুব্রতর এমআরআই করা সম্ভব নয় বলেই জানা গিয়েছে। এছড়া একটি সিটি স্ক্যানও করার দরকার। তবে ওই সিটি স্ক্যান এই সপ্তাহে না করে আগামী সপ্তাহের শুরুতেই অর্থাৎ সোমবার করা যায় কি না, সেই সব পর্যালোচনা করে দেখছেন চিকিৎসকরা। তাঁর পিঠের ব্যাথা নিয়ে ইউরো বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও পরামর্শ করছেন।
এর পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলের প্রস্টেটেও সমস্যা রয়েছে। এক্ষেত্রে তাঁর অস্ত্রোপচার করানোর দরকার আছে কি না, সেই বিষয়েও আলোচনা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, সিবিআই হাজিরার দিনই সকালে চিনার পার্কে নিজের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে গাড়ি নিয়ে সোজা ঢুকে যান এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএমের হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে। আপাতত সেখানেই সাত চিকিৎসকের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির।