AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Left Brigade: লালবাজারের কাছে কি ‘গুরুত্বহীন’ লাল ব্রিগেড? পুলিশি বন্দোবস্তেই উঠছে প্রশ্ন

Left Brigade: ২০২৩ সালে এসইউসিআই যখন ব্রিগেড কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল সেই সময়েও জয়েন্ট সিপি পদমর্যাদার অফিসারকে মোতায়েন করেছিল ব্রিগেডে দেখভাল করার জন্য। আর সেখানে বামেদের ডাকা ব্রিগেড কর্মসূচিতে মাত্র দু’জন ডিসি! অবাক হচ্ছেন কলকাতা পুলিশেরই অনেক প্রাক্তনীই।

Left Brigade: লালবাজারের কাছে কি 'গুরুত্বহীন' লাল ব্রিগেড? পুলিশি বন্দোবস্তেই উঠছে প্রশ্ন
ফের শহরে লাল ব্রিগেড Image Credit: TV 9 Bangla GFX
| Edited By: | Updated on: Apr 20, 2025 | 2:13 PM
Share

কলকাতা: গোটা ব্রিগেড ময়দান ভরে কয়েক লক্ষ জমায়েতের ডাক দেওয়া হলেও এই ব্রিগেডকে অতটা গুরুত্ব দিয়ে কি দেখছে না লালবাজার? রবিবারের পুলিশ মোতায়েনের ব্যবস্থা দেখে উঠছে প্রশ্ন। লালবাজার সূত্রে খবর, শুধুমাত্র দু’জন ডিসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ব্রিগেড ময়দানের সামগ্রিক নিরাপত্তা দেখভাল করার। ব্রিগেড ময়দান যেহেতু সাউথ ডিভিশনে পড়ে তাই ডিসি সাউথ ও তাঁর সঙ্গে আছেন ডিসি ফার্স্ট ব্যাটেলিয়ন। আর আছেন ৩ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার। 

ইন্সপেক্টর অন্যান্য পুলিশ কর্মীর সংখ্যা মিলিয়ে ১২৭ জন ব্রিগেডের নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাবেন, সেই ব্যবস্থা করেছে লালবাজার। এদিকে যেখানে ধর্মতলায় যে কোনও সাধারণ জমায়েতেও জয়েন্ট সিপি পদমর্যাদার পুলিশকে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয় সেখানে ব্রিগেডের মত বড় কর্মসূচিতে মাত্র দু’জন ডিসি মোতায়েন। ওয়াকিবহাল মহলের বড় অংশের মত, এটাই বুঝিয়ে দিচ্ছে লালবাজারের কাছে এই কর্মসূচির অতটা গুরুত্ব নেই। 

২০২৩ সালে এসইউসিআই যখন ব্রিগেড কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল সেই সময়েও জয়েন্ট সিপি পদমর্যাদার অফিসারকে মোতায়েন করেছিল ব্রিগেডে দেখভাল করার জন্য। আর সেখানে বামেদের ডাকা ব্রিগেড কর্মসূচিতে মাত্র দু’জন ডিসি! অবাক হচ্ছেন কলকাতা পুলিশেরই অনেক প্রাক্তনীই। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, লালবাজারের কাছে যা হিসেব তাতে দুই থেকে তিন হাজার গাড়ি আসার কথা রয়েছে। সে জন্য ছ’টি জায়গায় পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। বামেদের ব্রিগেড কর্মসূচির জন্য লালবাজারে তরফ থেকে মাত্র ৭ জায়গায় পুলিশ পিকেট মোতায়েন করা হচ্ছে। এই সংখ্যাও অন্যান্য ব্রিগেড কর্মসূচি থেকে অনেকটাই কম।

এদিনের বামেদের ব্রিগেড সমাবেশের জন্য ডিসি সাউথ ছাড়া অন্য কোন ডিভিশনাল ডিসিকে রাস্তাতেই নামানো হয়নি। সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত পুলিশ কর্মী প্রস্তুত রাখতে। প্রয়োজন হলে যাতে তাদের দ্রুত কাজে নামানো যায় এভাবে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে শহরে যান চলাচল ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার জন্য ৩৮ টি পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সেই সংখ্যাও অন্যান্য ব্রিগেড কর্মসূচি তুলনায় যে অনেকটাই কম তাও মানছেন কলকাতা পুলিশের একাংশ। এদিন সকাল আটটা থেকে পুলিশ কর্মীদের রাস্তায় নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, বেলা বারোটা থেকে ঘড়ির কাঁটা দুুপুরো ২টোর গন্ডি ছুঁলেও দেখা যায় রাস্তায় যান চলাচল বেশ স্বাভাবিক রয়েছে।  পুলিশ রয়েছে রাস্তায় তবে সংখ্যায় কম। যান নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ বেগ পেতে হচ্ছে না পুলিশ কর্মীদের।