Death: শহরে ম্যানহোল যেন মৃত্যুফাঁদ, রাতের অন্ধকারে বেঘোরে মৃত্যু অটো চালকের!
Manhole: অন্ধকারে খোলা ম্যানহোলে (Manhole) পড়ে মৃত্যু হল বছর পঞ্চাশের রঞ্জন সাহা নামে ওই ব্যক্তির। শুক্রবার গভীর রাতে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দমদম (Dumdum) সেভেন ট্যাঙ্কের কাছে।

কলকাতা: মহানগরে প্রশাসনের চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতার মাশুল দিতে হল এক অটো চালককে (Auto Driver)। অন্ধকারে খোলা ম্যানহোলে (Manhole) পড়ে মৃত্যু হল বছর পঞ্চাশের রঞ্জন সাহা নামে ওই ব্যক্তির। শুক্রবার গভীর রাতে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দমদম (Dumdum) সেভেন ট্যাঙ্কের কাছে।
জানা গিয়েছে, দমদম-সিঁথি অটোরুটে অটো চালক রঞ্জনবাবু শুক্রবার রাতে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। সেইসময় ফুটপাতের উপর খোলা ম্যানহোল দৃষ্টিগোচর হয়নি তাঁর। জায়গাটিতে কোনও আলোও ছিল না। সেখানে পড়ে যান তিনি।
এদিকে দমদমের বেদিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা ওই অটো চালককে রাতে ঘরে না ফেরায় খোঁজ শুরু হয়। স্থানীয় বস্তিবাসীরা ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করে ওই ব্যক্তিকে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে পারস্পরিক দোষারপের পালা। স্থানীয় পুর কর্তৃপক্ষের দাবি ম্যানহোলের ঢাকনা চুরি হয়ে যায়। ওই ম্যানহোলের ঢাকনা খুলে পায়খানা, প্রস্রাব করেন এলাকার বাসিন্দারা। যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ, তাঁরাই খোলা ম্যানহোল পাটাতন দিয়ে ঢেকে দেন। বস্তিতে একাধিক শৌচাগার রয়েছে। আর ওখানে ম্যানহোলের ঢাকনা ছিলই না।
পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলর পুষ্পালী সিনহার দাবি, ফুটপাতের উপর ওই ম্যানহোল পিডব্লিউডি-র। সকালে ওই ম্যানহোলের ঢাকনা খুলে মরিচঝাঁপি বস্তিবাসীরা ‘বাথরুম’ করেন। মৃত্যুর ঘটনায় তিনি দুঃখপ্রকাশ করলেও এই ঘটনার দায় পুরসভার নয় বলে জানিয়েছেন। তাঁর আরও দাবি, গত ৬ মাসে বারবার ম্যানহোলের ডাকনা খুলে দেন। চুরি করেন। তাঁর কটাক্ষ, এভাবে চললে সব ম্যানহোলের সামনে নিরাপত্তারক্ষী রাখতে হয়।
যদিও কেন খোলা ছিল ম্যানহোল? পুরসবার নজরদারির অভাবের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। তবে পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য তারক সিংয়ের দাবি, এটা খুন অথবা আত্মহত্যা। কারণ মৃত ব্যক্তির মুখ নিচের দিকে ছিল।
আরও পড়ুন: Gariahat Double Murder: ড্রেন-খাল থেকে উদ্ধার সুবীর চাকির একাধিক কার্ড, কাকুলিয়া খুনে নয়া তথ্য
এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, “সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে এটাই হচ্ছে। পুর নির্বাচন বন্ধ। কো অর্ডিনেটর, কাউন্সিলররা ব্যস্ত অবৈধ নির্মাণ নিয়ে। বিভিন্ন নতুন প্রোমোটিংয়ে তাঁরা ব্যস্ত। কিন্তু মানুষের ন্যূনতম চাহিদা, স্বাস্থ্য, জল, পয়ঃপ্রমালী নিষ্কাশন সমস্যা তাঁরা মেটাতে পারেননি। এটাই সার্বিক চিত্র। যদি ম্যানহোল খুলে দিয়ে চলে যায়। সেটা দেখার দায়িত্ব কার? নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা খবর রাখেন না।” তিনি আরও যোগ করেন, কোথাও বিদ্যুতের খোলা তারে তড়িদাহত হয়ে শিশু মারা যাচ্ছে, নির্বাচিত সাংসদ বলছেন, কেন বাইরে এসেছিল?”
আরও পড়ুন: Luizinho Faleiro: অর্পিতার আসনে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূলের নয়া রাজ্যসভার সাংসদ ফেলেইরিও
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: শুধুই ‘অরিজিনাল’-এ ভরসা দিলীপের, চান জলদি ‘জঞ্জাল’ সাফাই অভিযান
