Dilip Ghosh: শুধুই ‘অরিজিনাল’-এ ভরসা দিলীপের, চান জলদি ‘জঞ্জাল’ সাফাই অভিযান
Dilip Ghosh: "ফিল্মস্টার কি আর লোকাল বডিতে লড়ে? তারা বড় বড় ইলেকশনে লড়ে। পার্টির কর্মীরাই পার্টির ইলেকশনে লড়বেন (পুর ভোট)।''
কলকাতা: একুশের ভোটের আগে দল দলে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি (BJP)-তে। ভোটের পর থেকে আবার দলত্যাগের ধুম। দলবদলুদের আগেও চাঁচাছোলা আক্রমণ করেছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এবার প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির রাহুল সিনহার বক্তব্যের সমর্থনে বঙ্গ বিজেপির আরেক প্রাক্তন সভাপতি। দিলীপ বললেন, তাড়াতাড়ি জঞ্জাল সাফাই করতে হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাহুল সিনহা বলেছেন, দল থেকে সব জঞ্জাল ঝাঁট দিয়ে তাড়াতে হবে। এদিন নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে এ নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে দিলীপবাবু বলেন, উনি (রাহুল সিনহা) ঠিকই বলেছেন। জঞ্জাল ফাঁকা হোক। যাঁরা পার্টির অরিজিনাল কর্মী, তাঁদের নিয়েই পার্টি দাঁড়াবে আবার। জঞ্জাল আসে জঞ্জাল যায়। ক্ষমতার সঙ্গে সবাই থাকতে চায়। ক্ষমতা নেই। তাই হয়ত অনেকের অসুবিধা হচ্ছে।”
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো দুঁদে নেতারা তো বটে, অভিনেতা থেকে নেতা হতে আসা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ও দল ছেড়েছেন। দলে প্রায় প্রতিদিনই রক্তক্ষরণ অব্যাহত। যদিও দলবদলুদের নিয়ে তাঁরা মোটেই চিন্তিত নন বলে দাবি দিলীপের। শ্রাবন্তীর দলবদলের পরেও তাই বলেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ ছিল, বাবুল সুপ্রিয়কেও মন্ত্রী করা হয়, তার পরও তিনি দলত্যাগ করেন। তবে এঁদের উপর বিজেপি একেবারে নির্ভরশীল নয় বলে দাবি দিলীপ ঘোষের। কিন্তু সত্যিই কি তাই? এই যে দলবদলের হিড়িক, তাতে সত্য়িই বঙ্গ বিজেপির কিছু যায় আসে না? দিলীপবাবু জানাচ্ছেন, এই জন্য তিনি অরিজিনালে বিশ্বাসী।
এদিকে পৌর নির্বাচনের প্রার্থী চয়ন নিয়ে দিলীপবাবু জানান, যথাসময়েই হবে সেসব। ভোট শুরু হবে যখন ঠিক সময়ে হয়ে যাবে। কিন্তু এবার কি প্রার্থী তালিকায় কোনও ফিল্মস্টার থাকছে? দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, “ফিল্মস্টার কি আর লোকাল বডিতে লড়ে? তারা বড় বড় ইলেকশনে লড়ে। পার্টির কর্মীরাই পার্টির ইলেকশনে লড়বেন (পুর ভোট)।”
এদিন আবার আরেক তৃণমূলকে আক্রমণ করেন দিলীপ। সম্প্রতি গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরো এসেছেন কলকাতায়। আজ তিনি মিটিং করবেন। আর তা নিয়ে দিলীপের কটাক্ষ, “এখানে মিটিং করে কী লাভ? গোয়াতে করুন। কিন্তু গোয়াতে লোক কোথায়? এখানে এসে মিটিং করে, চা খেয়ে, গল্প করে, ফটো তুলে কী হবে! অনেক বার অনেক লোক এসেছে। গত লোকসভার ভোটেও অনেক লোক এসেছিল। কী লাভ হয়েছে তাতে? যেখানকার পার্টি করার কথা ওখানে তো ঝাঁট দেওয়ার লোক নেই। অফিস খোলার লোক নেই। ওখানে অফিসই নেই।”
আরও পড়ুন: Gariahat Double Murder: ড্রেন-খাল থেকে উদ্ধার সুবীর চাকির একাধিক কার্ড, কাকুলিয়া খুনে নয়া তথ্য