Hooghly: চিকিৎসক ছুটিতে যাবেন, তাই দিয়েছিলেন একটাই পরামর্শ! কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরই ৮০ শতাংশ ব্রেন ড্যামেজ! কারণ শুনলে অবাক হয়ে যাবেন
Hooghly: অপর্ণা পাত্রে সুগন্ধা পূর্বের তৃণমূল সদস্য। তাঁর স্বামী তোতন পাত্র জানান, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালের এক চিকিৎসককে প্রাইভেটে দেখানো হত। প্রসবের জন্য প্রায় একমাস বাকি ছিল।
হুগলি: সিজারের পরই কোমায় চলে গেলেন তৃণমূল সদস্য! কলকাতার হাসপাতাল ঘুরে চুঁচুড়ার নার্সিংহোমে ভর্তি করা হল। দেখতে যান বিধায়ক, সাংসদ। পোলবার সুগন্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা বছর পঁচিশের অপর্ণা পাত্রের অবস্থায় এলাকায় শোরগোল।
অপর্ণা পাত্রে সুগন্ধা পূর্বের তৃণমূল সদস্য। তাঁর স্বামী তোতন পাত্র জানান, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালের এক চিকিৎসককে প্রাইভেটে দেখানো হত। প্রসবের জন্য প্রায় একমাস বাকি ছিল। চিকিৎসক থাকবেন না বলে তাঁর কথা মতো চুঁচুড়া হসপিটাল রোডের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয় তাঁকে।
গত ৬ জানুয়ারি সিজার করা হয়। কন্যা সন্তানের জন্ম দেন অপর্ণা। তারপরই তিনি কোমায় চলে যান। তাঁর আর জ্ঞান ফেরেনি।পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে তাঁকে কলকাতার বড় বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত হয়। সেখানে কয়েকদিন আইসিসিইউ তে ভর্তি রাখার পর চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন আশি শতাংশ ব্রেন ড্যামেজ হয়ে গিয়েছে প্রসূতির। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না।
হাসপাতালে খরচও হচ্ছিল অনেক। তাই চুঁচুড়াতে আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়।একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। দলের পঞ্চায়েত সদস্যর এই রকম অবস্থা শুনে শুক্রবার সন্ধায় বিধায়ক অসিত মজুমদার, সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় নার্সিংহোমে যান। তাঁরা জানান, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের ভুলে এই ঘটনা হলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও চিকিৎসক-হাসপাতালের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।