AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SSKM: নজির গড়ল এসএসকেএম, সম্পূর্ণ নিখরচায় IVF পদ্ধতিতে জন্ম নিল কন্যাসন্তান

SSKM: এসএসকেএম হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই IVF চিকিৎসা শুরু হয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এই চিকিৎসার মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দিতে খরচ হয় ১ লক্ষ ৫০ হাজার বা তার বেশি টাকা।

SSKM: নজির গড়ল এসএসকেএম, সম্পূর্ণ নিখরচায় IVF পদ্ধতিতে জন্ম নিল কন্যাসন্তান
এসএসকেএম-এ চিকিৎসকরাImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 05, 2024 | 2:45 PM
Share

কলকাতা: সরকারি হাসপাতাল এসএসকেএমে আইভিএফ পদ্ধতিতে জন্ম নিল কন্যাসন্তান। নজির গড়ল রাজ্য। পূর্ব ভারতে প্রথম কোনও সরকারি হাসপাতালে আইভিএফ (IVF) পদ্ধতিতে জন্ম নিল কন্যাসন্তান। এসএসকেএম হাসপাতালে এবং GDIRF প্রতিষ্ঠানের যৌথ সহযোগিতায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা এক প্রসূতি এই কন্যাসন্তানের জন্ম দেন।

১৯৭৮ সালে টেস্টটিউব বেবির জনক চিকিৎসক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে এমন এক অক্টোবরেই প্রথম কন্যাসন্তানের জন্ম হয়েছিল। শনিবার এসএসকেএম হাসপাতালের আইভিএফ বিভাগের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে এই খবর প্রকাশ করা হয়। GDIRF-এর ডিরেক্টর চিকিৎসক সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার, এসএসকেএম হাসপাতালের আইভিএফ বিভাগের চিকিৎসক বিশ্বনাথ ঘোষ দস্তিদার ও চিকিৎসক গৌরীশঙ্কর কামিল্যা সাংবাদিক বৈঠক করেন।

চিকিৎসক সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে বর্তমানে তাঁর প্রতিষ্ঠান এসএসকেএম-এর সঙ্গে যৌথভাবে করছে।” এসএসকেএম হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই IVF চিকিৎসা শুরু হয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এই চিকিৎসার মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দিতে খরচ হয় ১ লক্ষ ৫০ হাজার বা তার বেশি টাকা।

জানা গিয়েছে, এই পদ্ধতিতে সন্তান প্রসবের জন্য ইতিমধ্যে ৩২০০ জন নিজেদের নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। যাঁদের মধ্যে ৩৫ জন ইতিমধ্যেই অন্তঃসত্ত্বা। এদিন চিকিৎসকরা বলেন, সরকারি হাসপাতালে যে প্রসূতি প্রথম এই কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেন, তাঁকে হাসপাতালে রেখে ১৮ দিন যাবতীয় চিকিৎসা পদ্ধতি চালানো হয়েছে।

তবে মূল প্রক্রিয়া শুরু হয় আট থেকে নয় মাস আগে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে ওই মহিলার শরীরের ডিম্বাণু সংক্রান্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই হাসপাতালে সম্পূর্ণ পৃথক বিভাগ চালু করা হয়েছে। এই IVF বিভাগে পাঁচটি বেড রাখা হয়েছে। কারণ হিসেবে চিকিৎসকদের দাবি, অস্ত্রোপচার বা সিজার হওয়ার আগে বেশ কিছু জটিলতা দেখা দেয়। তার জন্য হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করাতে হয় প্রসূতিদের।