AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Baguati: রাতভর ফ্ল্যাটে পুরুষবন্ধুর জন্মদিন পালন, সকালে উদ্ধার বাগুইআটির আক্রান্ত প্রোমোটারের প্রথম পক্ষের মেয়ে বার নতর্কীর নিথর শরীর

Baguati: সোমবার রাতে মণীষার ফ্ল্যাটে তাঁরই পুরুষবন্ধু ওড়িশার বাসিন্দা অন্তর্যামী সোরেন জন্মদিনের পার্টি চলছিল। ফ্ল্যাটে দু'জনেই ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়।

Baguati: রাতভর ফ্ল্যাটে পুরুষবন্ধুর জন্মদিন পালন, সকালে উদ্ধার বাগুইআটির আক্রান্ত প্রোমোটারের প্রথম পক্ষের মেয়ে বার নতর্কীর নিথর শরীর
বাগুইআটিতে তরুণীর দেহ উদ্ধারImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Apr 01, 2025 | 2:49 PM
Share

কলকাতা: বাগুইআটিতে ফের রহস্যমৃত্যু। দেশবন্ধুনগরে বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার তরুণীর দেহ। অভিজাত আবাসনের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় পেশায় বার নর্তকী ওই তরুণীর দেহ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর নাম মণীষা রায়।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সোমবার রাতে মণীষার ফ্ল্যাটে তাঁরই পুরুষবন্ধু ওড়িশার বাসিন্দা অন্তর্যামী সোরেন জন্মদিনের পার্টি চলছিল। ফ্ল্যাটে দু’জনেই ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, তরুণীর গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শ্বাসরোধ করে খুন, নাকি অন্য কিছু তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

ফ্ল্যাটের কলাপসেবল গেটে তালা মারা ছিল, আর চাবি ছিল মণীষার কাছে। সেই চাবি কোনওভাবেই খুঁজে পায়নি অন্তর্যামী। সেই কারণে তরুণীর নিথর দেহের সঙ্গে রাতভর ফ্ল্যাটেই ছিলেন বাইশ বছরের যুবক। সকালে গেটের তিনটি তালা ভেঙে তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হয়। আপাতত পুলিশের কাছে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই বোঝা যাবে, তরুণীর মৃত্যু কীভাবে। ওড়িশার যুবক অন্তর্যামীকে আটক করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

জানা গিয়েছে, মণীষা হলেন বাগুইআটির আক্রান্ত প্রোমোটার কিশোর হালদারের প্রথম পক্ষের মেয়ে। মণীষার মায়ের সঙ্গে কিশোরের ১৫ বছর আগে পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর মেয়ে মণীষাকে নিয়ে একাই থাকতেন তাঁর মা। কয়েক বছর আগে মণীষার মায়ের মৃত্যু হয়। বারে নাচ করতেন মণীষা। কিশোর হালদার তাঁদের দেখভালের দায়িত্ব নেননি বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, এই কিশোর হালদারকেই মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তী ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। যদিও এ বিষয়ে কিশোর হালদারকে প্রশ্ন করা হলে, প্রথমে তিনি কিছুক্ষণ চুপ থাকেন, তারপর বলেন, “নো কমেন্টস, আমি স্বীকারই করব না।”