Militant Organization in Bangladesh: জুলাইয়ের আগেই বাংলাদেশিরা পশ্চিমবঙ্গে নতুন ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনের বীজ পুঁতে গেছে?
Militant Organization in Bangladesh: গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে পা রাখার পর মালদহের বৈষ্ণবনগরের এক যুবকের বাড়িতে যায় তাঁরা। টুরিস্ট ভিসাতে আসা ওই দুই যুবক নিজেদের ছাত্র পরিচয় দিয়েছিল। বৈষ্ণবনগরে ওই যুবক ছাড়াও ওই এলাকার একাধিক বসতিতে যায়।
কলকাতা: ওপার বাংলায় যেন অশান্তির দাবানল। আঁচ এসে পড়েছে এপার বাংলাতেও। এরইমধ্যে কলকাতা দখলের হুমকিও এসেছে বাংলাদেশের কট্টরপন্থীদের তরফে। এসেছে ভারতের মানচিত্র বদলের হুমকিও। উদ্বেগ বাড়ছে নিষিদ্ধ ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরিরের কার্যকলাপ নিয়ে। ভারত-বাংলাদেশে নিষিদ্ধ এই সংগঠন কী ডানা মেলেছে পশ্চিমবঙ্গেও? একাধিক তথ্য় সূত্রে সেই সম্ভাবনা নেই গুচ্ছ গুচ্ছ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকী নিষিদ্ধ ওই সংগঠনের দুই সদস্য এসেছিল এপারে। গোয়েন্দা সূত্রে এই খবর সামনে আসার পর থেকেই তা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, মে মাসের ২৩ তারিখ মালদহের মোহদিপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকেছিল সাব্বির আমির ও রিদওয়ান মারুফ নামে দুই যুবক। তাঁদের কাছে ছিল বৈধ পাসপোর্টও। কিন্তু, বাংলায় ঠিক কোন কাজে এসেছিল তাঁরা? সংগঠন কী ছড়িয়েছে এ রাজ্যেও? গোয়েন্দাদের রিপোর্টে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে পা রাখার পর মালদহের বৈষ্ণবনগরের এক যুবকের বাড়িতে যায় তাঁরা। টুরিস্ট ভিসাতে আসা ওই দুই যুবক নিজেদের ছাত্র পরিচয় দিয়েছিল। বৈষ্ণবনগরে ওই যুবক ছাড়াও ওই এলাকার একাধিক বসতিতে যায়। বেশ কয়েকটি বৈঠক করে দু’জনে। এরপর তাঁরা দু’জন চলে যায় ধুলিয়ানে। সেখানেও গ্রামের যুবকদের নিয়ে বৈঠকে বসে বলে খবর। ৩০ ফের তাঁরা ফিরে যায় বাংলাদেশে।
দু’জনের গতিবিধি নিয়ে সন্দেহ হয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। তদন্তে জানা যায় দু’জনেই রাজশাহির বাসিন্দা। রিদওয়ান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। দু’জনেই হিজবুত তাহরির সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। আমির ওরফে সাব্বির হিজবুত তাহরিরের একজন পুরোনো সংগঠক এবং নেতা বলেও জানা যাচ্ছে। ৩০ মে তাঁরা ভারত ছাড়লেও রক্তবীজ কি পুঁতে দিয়ে গিয়ে গিয়েছিল এ পার বাংলায়? গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে আসছে আরও সব ভয়ঙ্কর তথ্য়। বাংলাদেশে অশান্তির আবহে তাতেই কপালের ভাঁজ আরও চওড়া হচ্ছে গোয়েন্দাদের।