AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

পর্ণশ্রী খুনে হাতে হাতে আসছে না ‘কি পয়েন্ট’, গোয়েন্দাদের কাজ এগিয়ে দিলেন প্রতিবেশীরাই

Behala Murder Case: নতুন তথ্য অনুসন্ধানের খোঁজেই পর্ণশ্রীর সেন পল্লির ওই আবাসনের আশেপাশে এলাকার রাস্তাঘাট, কোথায় কোন জলাশয় আছে সব কিছুই পুঙ্খানুপুঙ্খ খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।

পর্ণশ্রী খুনে হাতে হাতে আসছে না 'কি পয়েন্ট', গোয়েন্দাদের কাজ এগিয়ে দিলেন প্রতিবেশীরাই
পর্ণশ্রীতে খুন মা ও ছেলে (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Sep 10, 2021 | 9:37 AM
Share

কলকাতা: চার দিন পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও পর্ণশ্রী খুনের (Parnasree Murder Case) কিনারা করতে পারেননি গোয়েন্দারা। চলছে জোরদার তল্লাশি। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র কি আশেপাশের জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে? কোথায় গেল সুস্মিতা মণ্ডলের মোবাইল কিংবা তমোজিতের ল্যাপটপ? সন্ধিহান তদন্তকারীরা। পর্ণশ্রী খুনে তদন্তাকারীদের ধারণা, তথ্য লোপাটের জন্য আশপাশের কোন জলাশয় কিংবা জঙ্গলে ফেলা দেওয়া হয় খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র।

পর্ণশ্রী জোড়া খুনের ঘটনায় এবার ব্যবহৃত অস্ত্র ও মোবাইল ফোনের নাগাল পেতে চাইছেন গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যে তদন্তে যেসব তথ্য প্রমাণ মিলেছে, তার উপরে ভিত্তি করে আবারও ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।

নতুন তথ্য অনুসন্ধানের খোঁজেই পর্ণশ্রীর সেন পল্লির ওই আবাসনের আশেপাশে এলাকার রাস্তাঘাট, কোথায় কোন জলাশয় আছে সব কিছুই পুঙ্খানুপুঙ্খ খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। পুলিশের তদন্তে সাহায্য করছেন এলাকার বাসিন্দারাও।

ঘটনাস্থলের আশেপাশে যত সিসিটিভি রয়েছে, সেই ফুটেজ পুলিশের হাতে তুলে দিতে সাহায্য করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয়দের বক্তব্য, প্রশাসনের ওপরে তাঁদের ভরসা রয়েছে। তবে দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতারের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। এলাকার বাসিন্দারা যথেষ্ট ভয়ে এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাঁদের দাবি, এই এলাকায় এরকম ঘটনা নজিরবিহীন। এর আগে কখনও এরকম ঘটনা ঘটেনি। পর্ণশ্রীর জোড়া খুনের ঘটনা কার্যত সাড়া ফেলে দিয়েছে গোটা রাজ্যেই।

তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘরে দুটি চাবি। একটি সুস্মিতা ও আরেকটি তপনের কাছে থাকে। তবে পুলিশের কাছে তপন মন্ডল জানিয়েছেন, তিনি ঘটনার দিন চাবি নিয়ে বেরোননি। পুলিশ সূত্রে খবর সেই চাবিটিও মিসিং রয়েছে।

তপন মন্ডলের ব্যাঙ্কের সহকর্মীদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর ব্যাঙ্কের কর্মীরা গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, ঘটনার দিন অফিস আওয়ার্সে তপন মন্ডল ব্যাঙ্কেই ছিলেন। পুলিশের অনুমান তিনটে থেকে পাঁচটার মধ্যে এই খুন হয়েছে। সেই সময় ব্যাংক কর্মীদের কথামতো তপন মন্ডল ব্যাংকেই ছিলেন। এখন প্রশ্ন উঠছে তাহলে কেন খুনের সময় অর্থাৎ ২ঘন্টা তপন মন্ডলের ফোন বন্ধ ছিল।

সিবিআর চেক করে পুলিশ দেখেছে বেশ কিছু অপরিচিত নম্বর থেকে তপন মন্ডলের ফোন এসেছে। এমনকি তপন মন্ডল যখন ফোন অন করেন, সেই সময় কিছু মিস কল অ্যালার্টও আসে অপরিচিত নম্বর থেকে।

প্রশ্ন উঠছে, দু’ঘণ্টা যখন ফোন অফ ছিল, তখন তপন মন্ডলের ফোনে কাদের ফোন এসেছিল?সেগুলো খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

সূত্রের খবর, স্ত্রীর সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল না তপন মন্ডলের। স্ত্রীর কাজ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই ঝামেলা চলছিল। শুধু কাজের জন্যই যে ঝামেলা সেটা নয়, আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে ঝামেলার। সেগুলিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

জেরায় তপন মন্ডল দাবি করেছিলেন, তিনি তাঁর স্ত্রীয়ের ফোন সুইচ অফ পান। তিনি বাড়ি ফিরে পাড়ার লোকদের বলতে থাকেন তাঁরা তাঁর স্ত্রী সুস্মিতাকে দেখেছেন কিনা। তবে প্রশ্ন উঠছে, যদি বাড়ির লোকের ফোন কেউ অফ পান, তাহলে পাড়ার লোককে না জিজ্ঞাসা করে বাড়ির ভেতরে গিয়ে আগে দেখেন! এক্ষেত্রে তপন উল্টোটাই করেছিলেন।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তপন মন্ডল জানিয়েছেন, ছেলে এবং বউয়ের রক্তাক্ত দেহ দেখে তিনি তাঁদের দেহে হাত দিতে সাহস পাননি। তাহলে তপন মন্ডলের আংটিতে রক্তের দাগ কোথা থেকে এল? এইসব প্রশ্ন ধীরে ধীরে উঠতে শুরু করেছে পুলিশের তদন্তের পর।

আরও পড়ুন: কীভাবে কুকুরের বেল্ট দিয়ে স্ত্রীকে খুন করেন বিপ্লব? ঘটনার পুনর্নিমাণে ধৃতের ফ্ল্যাটেই গোয়েন্দারা

আরও পড়ুন: তৃণমূলের সালিশি সভায় বিজেপি কর্মীকে জমি লিখে দেওয়ার নিদান, না মানায় ভয়ঙ্কর ‘খেসারত’!