তৃণমূলের সালিশি সভায় বিজেপি কর্মীকে জমি লিখে দেওয়ার নিদান, না মানায় ভয়ঙ্কর ‘খেসারত’!
BJP Worker: আবারও আলোচনার কেন্দ্রে শুভেন্দু অধিকারীর গড় কাঁথি। ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে রাজ্য আগেই ধাক্কা খেয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট সমগ্র ঘটনার তদন্ত ভার সিবিআই ও সিটকে দিয়েছে ঘটনার তাৎপর্য বুঝে।
পূর্ব মেদিনীপুর: গ্রামের তৃণমূল (TMC) নেতাদের সালিশি সভায় ডেকে জমি লিখে দেওয়ার নিদান দেওয়া হল বিজেপি কর্মী (BJP Worker)কে। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় জুটল মার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিজেপি কর্মীকে ভর্তি করা হল হাসপাতালে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র রাজনৈতিক শোরগোল।
আবারও আলোচনার কেন্দ্রে শুভেন্দু অধিকারীর গড় কাঁথি। ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে রাজ্য আগেই ধাক্কা খেয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট সমগ্র ঘটনার তদন্ত ভার সিবিআই ও সিটকে দিয়েছে ঘটনার তাৎপর্য বুঝে। সেই তদন্ত চলছে। তারই মাঝে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে উঠল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল বিজেপি। ঠিক কী হয়েছে?
বুধবার বিজেপি করার অপরাধে মারধর লুটপাট করার অভিযোগ উঠল ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উত্তর কাঁথির এলাকার কুলঞ্জরা গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই গ্রামের বাসিন্দা নাড়ু গুড়িয়া দীর্ঘদিন ধরে সিপিএম করতেন। ‘১১ সালের বিধানসভা ভোটের পর ১০ বছর ধরে রাজনৈতিক অত্যাচারে ঘরছাড়া রয়েছেন। তাঁর একটি ছেলে কৌশিক গুড়িয়া ও মেয়ে আরতি গুড়িয়া তার মা সরস্বতী গুড়িয়াকে নিয়ে গ্রামে থাকতেন। তারপর এই সিপিএম পরিবার বিজেপি দল করত। সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসাবে তারা পরিচিত। পরিবারের অভিযোগ, বাড়ির আর্থিক অবস্থা খারাপ।
কার্যত খেতে না পেয়ে নাড়ু গুড়িয়ার মা কমলা দেবী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। অনাহারেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানায় পরিবার। অভিযোগ, তাঁর মরদেহ দাহ করতে বাধা দেয় তৃণমূলের লোকেরা। এমনকি বিজেপি করার অপরাধে তাঁকে এক বিঘা সম্পত্তি গ্রামের নামে লিখে দিতে বলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা। সেই মতো কাজ না হওয়ায় গতকাল রাতে গ্রামে সালিশি সভা বসানো হয়। সেই সভায় ওই বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় পরিবারের তিন সদস্য এখন কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এই ঘটনার সম্পর্কে কাঁথি দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সহ সভাপতি তরুণ জানা বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। যে বা যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে দল অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ের গতি তে কেউ কেউ গা ভাসিয়ে অতি তৃণমূল হওয়ার চেষ্টা করছে দল এটা সমর্থন যোগ্য নয়। আর কিছু অপপ্রচার করাও হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তরুণ বাবু।
এই বিষয়ে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, “সর্বত্রই অরাজকতা চলছে। তাই খুন সন্ত্রাসের রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েছে শাসক দল। আশাকরি মানুষ জাগ্রত হবে এবং এই অরাজকতার প্রতিবাদ করবে।”
আরও পড়ুন: ‘যেভাবে রবীন্দ্রনাথকে মুছে দিতে চাইছেন, ওনার শাস্তি পাওয়া উচিত,’ ফের বিদ্যুৎকে নিশানা কেষ্টর