AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sayantan Basu: বিজেপির রাজ্য কমিটিতে নাম নেই, সায়ন্তনের নতুন রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জোর চর্চা

Sayantan Basu: তবে তৃণমূল নেতাদের এক জনের দাবি, এই বৈঠক নিছকই সৌজন্যমূলক। পুরনো পরিচিত হিসাবেই তাঁরা সায়ন্তনের বাড়িতে গিয়েছিলেন। চা খেতে খেতে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

Sayantan Basu: বিজেপির রাজ্য কমিটিতে নাম নেই, সায়ন্তনের নতুন রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জোর চর্চা
সায়ন্তন বসুর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা (ফাইল ছবি)
| Edited By: | Updated on: Dec 23, 2021 | 11:10 AM
Share

কলকাতা: বিজেপি-র নতুন রাজ্য কমিটিতে নাম নেই দীর্ঘ দিন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা সায়ন্তন বসুর। নতুন জল্পনার কেন্দ্রে সায়ন্তন। তাঁর মতো নেতার নাম বাদ যাওয়াতে চমকেছেন দলেরই অনেকে। আবার বিস্মিত প্রতিপক্ষও। বুধবার রাতেই বিধাননগরে তাঁর বাড়িতে যান তৃণমূলের কয়েক জন নেতা। সূত্রের খবর, তাঁদের মধ্যে এক জন তৃণমূলের বর্তমান বিধায়ক এবং এক জন প্রাক্তন বিধায়ক ছিলেন। তা হলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন সায়ন্তন? জল্পনা তুঙ্গে। তবে তৃণমূল নেতাদের এক জনের দাবি, এই বৈঠক নিছকই সৌজন্যমূলক। পুরনো পরিচিত হিসাবেই তাঁরা সায়ন্তনের বাড়িতে গিয়েছিলেন। চা খেতে খেতে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সায়ন্তন বসুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি দলেই আছি। দলেই থাকব। দিল্লির কাজ দেবে তাই করবো । অন্য কোন দলে যাচ্ছি না।” তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার বাড়িতে অনেকেই এসেছিল। শাসক দলের লোকও ছিল। ওরা অন্য সময় আমার বাড়িতে আসে, আমরা একসঙ্গে আড্ডা দিই অনেক। অন্য কিছু ভাবার নেই। ”

তৃণমূলের এক নেতার কথাতেও উঠে এসেছে পুরনো পরিচিতির কথাই। তাঁর বক্তব্য, “এই বৈঠক নিছকই সৌজন্যমূলক। পুরনো পরিচিত হিসাবেই তাঁরা সায়ন্তনের বাড়িতে গিয়েছিলেন। চা খেতে খেতে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।”

এদিকে, রাজ্য কমিটির থেকে নাম বাদ যাওয়ার পরই দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে লেফট হয়ে যান সায়ন্তন। যা নিয়ে চর্চা আরও তুঙ্গে ওঠে। যদিও সায়ন্তনের সাফ জবাব, “কমিটিতে নেই, তবে ওই গ্রুপে কেন থাকব? এটাই তো স্বাভাবিক।” প্রসঙ্গত, নতুন রাজ্য কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি থাকছেন রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদকের পদে। এতদিন দলের মহিলা মোর্চার সভাপতি ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁর জায়গায় এবার দলের রাজ্য মহিলা মোর্চার নতুন সভাপতি হচ্ছেন তনুজা চক্রবর্তী।

বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটিতে সহ সভাপতি থাকছেন ১১ জন। সাধারণ সম্পাদকের পদে রয়েছে পাঁচ জনের নাম। বিজেপির সাংগঠনিক পরিকাঠামো অনুযায়ী, সভাপতি পদের পরেই সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)-এর পদ এবং অন্যান্য সাধারণ সম্পাদকেরা। সেদিক থেকে দেখতে গেলে দলের নতুন রাজ্য কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকছেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, অগ্নিমিত্রা পাল, দীপক বর্মণ এবং জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।

উল্লেখ্য, বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠেছে। দলের বাইরে হোক বা দলের অন্দরে, এই ধরনের প্রশ্নবাণ সামাল দিতে মাঝে মধ্যেই নাকানি চোবানি খেতে হয়েছে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের। সদ্য় সমাপ্ত কলকাতা পুরভোটের ফলাফলের পরেও সেই একই প্রশ্ন অনেকেই তুলতে শুরু করেছিলেন। আর ঠিক তার একদিন পরেই এই ব্যাপক সাংগঠনিক রদবদল বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। তাহলে কি সেই দুর্বলতাকে ঢাকা দিতেই এই ব্যাপক আকারে সাংগঠনিক ভোল বদলে দেওয়ার চেষ্টা? সেই উত্তরের দিকেই তাকিয়ে থাকছেন রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা।

আরও পড়ুন: BJP State Committee: বঙ্গ বিজেপিতে বড় রদবদল, সাধারণ সম্পাদক লকেট, অগ্নিমিত্রা; যুব মোর্চার পদ খোয়ালেন সৌমিত্র