AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bengal COVID Protocol: মৃত্যু ঠেকাতে কোভিড প্রোটোকলে বদল, কোন পথে হাঁটছেন চিকিৎসকরা?

Bengal COVID Protocol: এখন থেকে করোনা আক্রান্ত কো-মর্বিড রোগীদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে রেখেই চিকিৎসার পথে হাঁটতে পারে রাজ্য।

Bengal COVID Protocol: মৃত্যু ঠেকাতে কোভিড প্রোটোকলে বদল, কোন পথে হাঁটছেন চিকিৎসকরা?
কোভিড প্রোটোকলে বদল (ফাইল চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Feb 02, 2022 | 1:11 PM
Share

কলকাতা: মৃত্যু রোধে কোভিড প্রোটোকলে বদলের সম্ভাবনা। এখন থেকে করোনা আক্রান্ত কো-মর্বিড রোগীদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে রেখেই চিকিৎসার পথে হাঁটতে পারে রাজ্য। করোনা হলেও কিডনির রোগীর চিকিৎসা হবে নেফ্রোলজি বিভাগে। হৃদরোগ, ইউরোলজি বা লিভারের সমস্যায় ভোগা রোগীর করোনা ধরা পড়লে আর তাঁকে পত্রপাঠ কোভিড ইউনিটে স্থানান্তর না করে সংশ্লিষ্ট বিভাগের একটি ওয়ার্ডে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসার পথে হাঁটতে চাইছে স্বাস্থ্য ভবন।

রাজ্যের বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা যে মৃত্যু ঠেকাতে কোভিড চিকিৎসা প্রোটোকলের সরলীকরণ চাইছেন গত ১২ জানুয়ারি সেই খবর সম্প্রচার করেছিল টিভি নাইন বাংলা। মঙ্গলবার স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে কোভিড ডেথ কমিটির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। সেখানেই কোভিড চিকিৎসার নতুন প্রোটোকল নিয়ে আলোচনা হয় বলে খবর। বুধবার এ সংক্রান্ত ডেথ কমিটির লিখিত পরামর্শ স্বাস্থ্য দফতরের কাছে প্রস্তাব আকারে জমা দেওয়ার কথা। এরপর প্রয়োজনীয় রূপরেখা তৈরি করে তা গাইডলাইন আকারে প্রকাশ করবে স্বাস্থ্য ভবন।

রাজ্যে সংক্রমণের যে বুলেটিন, তাতে বোঝা যাচ্ছে, দৈনিক মৃত্যুর হার ৩০-৪০ জন। কেন এত মৃত্যু হচ্ছে, সেটা পর্যালোচনা করতে গিয়ে, তাদের একটি বিষয় পর্যবেক্ষণে আসে বিশেষজ্ঞদের। ধরা যাক, এসএসকেএমের কার্ডোওলজি বিভাগে চিকিৎসা করাতে আসা কোনও রোগী কোভিড পজেটিভ হলেন। আগের নিয়ম অনুসারে তাঁকে প্রথমে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছিল। এসএসকেএমের চিকিৎসক শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে গিয়ে রোগী দেখে আসছিলেন। একইরকমভাবে রাজ্যের অন্য যে মেডিক্যাল কলেজ কিংবা সরকারি হাসপাতালগুলি রয়েছে, সেক্ষেত্রেও কোনও রোগী যদি কোভিড আক্রান্ত হন (যাঁরা আগে থেকেই কিডনি, লিভার কিংবা ইউরোলজির সমস্যায় ভুগছেন), তাঁদেরকেও পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছিল কোভিড হাসপাতালে।

এরফলে ওই সমস্ত রোগীদের আসল রোগের চিকিৎসা করাতে সমস্যা হচ্ছিল। তাঁদেরই বক্তব্য ছিল, কোভিড হাসপাতালে তাঁদের আসল রোগের চিকিৎসা ঠিক মতো হচ্ছে না। সেই কারণেই নতুন পন্থা ভাবছেন বিশেষজ্ঞরা। যে বিভাগের রোগী, তাঁকে সেখানেই ‘আইসোলেটেড’ করে রাখা হবে। একই জায়গায় তাঁর দুটি রোগের চিকিৎসা হবে।

আরও দুটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা। এক. উপসর্গহীন রোগীর কোভিড পরীক্ষার কোনও প্রয়োজন নেই। দুই. সার্জেনরা কোভিড রোগীর সার্জারি করার ক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছিল অনিহা প্রকাশ করছিলেন। সেটাও যে আর করা যাবে না, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে নতুন প্রোটোকলে।

বিশিষ্ট চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, “এখন বাণিজ্য চলছে দুটো জিনিসকে কেন্দ্র করে। অল্প কিছু শরীর খারাপ হলেই তাঁকে পরীক্ষা করতে পাঠানো, যে কোনও ধরনের টেস্ট কিট বিক্রি করে খাওয়া। দুই. প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে নানান পরীক্ষানীরিক্ষা করানো ও ওষুধপাতি দেওয়া। হাজিবাজি ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। যে ওমিক্রম ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত, তাঁর অক্সিজেনের প্রয়োজন হলে অক্সিজেন, না হলে প্যারাসিটামল- এ বাদ দিয়ে আর কোনও ওষুধ আছে বলে তো আমার মনে হয় না।”

আরও পড়ুন: Agitation in front of PSC Building: দ্রুত নিয়োগের দাবিতে পিএসসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের