
কলকাতা: বিহারে ডাবল সেঞ্চুরি এনডিএ জোটের। তাতেই নতুন করে অক্সিজেনের সঞ্চার বাংলার পদ্ম শিবিরেও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, এবার লক্ষ্য যে বাংলা জয় তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রত্যেকেই। বাংলায় বিধানসভা ভোটের আগে হাতে মেরে কেটে আর কয়েক মাস। দামামা বাজতে না বাজতেই রাজনৈতিক মহল তপ্ত হয়ে উঠেছে এসআইআর ইস্যুতে। এরইমধ্যে ভোটের প্রচার কৌশল নতুন করে সাজাতে চাইছে গেরুয়া ব্রিগেড। বড় সভার থেকেও বেশি গুরুত্ব ছোট ছোট সভায়। জোর দেওয়া হচ্ছে আলাদা করে। কর্মী বৈঠকেও বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
কোন কোন ক্ষেত্রে জোর?
বিজেপি সূত্রে খবর, প্রয়োজনে সাংগঠনিক জেলাকে ছোট ছোট ভাবে ভেঙে কর্মী বৈঠকে করা হবে। আগলে রাখতে হবে বুথ। সেই বার্তাও চলে যাচ্ছে নিতুতলায়। আলাদা করে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বুথ সংগঠনে। যেসব এলাকায় ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে ও ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে অল্প ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল পদ্ম শিবির সেই এলাকাগুলিতে বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে ভোট বাড়ানোর চেষ্টা করতেই হবে। দলীয় নেতা কর্মীদের নির্দেশ বিজেপি নেতৃত্বের।
ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন ( SIR) পর্বকে ব্যবহার করে রোহিঙ্গা, অনুপ্রবেশকারী ইস্যু নিয়ে প্রচার অব্যহত রাখারও নির্দেশ গিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বড় অংশের ধারনা, এই ইস্যুগুলিকে হাতিয়ার করেই মেরুকরণকে আরও তীব্র করছে পদ্ম শিবির। এই রাস্তাতেই হিন্দু ভোটকে আরও ঐক্যবদ্ধ করতে চাইছে পদ্ম শিবির।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দুর্নীতি থেকে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারতন্ত্রকে নিশানা করা সবই পুরোদমে চলবে বিজেপির প্রচারে। ২০০২ সালে রাজ্যে বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা SIR হয়েছিল। কিন্তু তার বিশেষ প্রভাব পড়েনি নির্বাচনে। উল্টে সেই সময়কার শাসক বামেরাই তার সুবিধা পেয়েছিল। কারণ, নিঃশব্দে বাম-বিরোধী বহু মানুষের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল বলে পদ্ম নেতাদের একাংশের মত। এবার সেই সুযোগ নেই। কারণ, এবার SIR নিয়ে প্রচার রয়েছে। মানুষও সচেতন। তাই নিঃশব্দে ওই কাজ করে তার ফায়দা শাসক দল পাবে না। দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।
বিজেপি নেতাদের মতে, স্বচ্ছ আর নির্ভুল ভোটার তালিকা হলে লাভ অবশ্যই হবে। কারণ, মৃত একই ব্যক্তির নাম দুই বা তিন জায়গায় থাকা কাটা গেলেই তার ফায়দা পাওয়া যাবে। পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, ওই ভোটারদের নাম ব্যবহার করে ছাপ্পা রিগিং করার সুযোগ পায় শাসক তৃণমূল। বিজেপি সেই সুযোগ পায় না। ফলে নির্ভুল ভোটার তালিকা হলে বিপদে পড়বে শাসকদলই। এমনটাই মনে করছেন পদ্ম নেতাদের বড় অংশ।