Bhabanipur Murder: ডাস্টবিনে ছিল ছেঁড়া গোলাপি বিল! তাতে লেখা এটা জিনিসই ধরিয়ে দিল স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ‘খুনী’কে

Bhabanipur Murder: গোলাপি রঙের বিলই ধরিয়ে দিয়েছে শান্তিলাল বৈদ্যের 'খুনী' বছর আঠাশের বিমল শর্মাকে। গোলাপি রঙের বিলের দুটুকরো একসঙ্গে জোড়া করে তদন্তকারীরা পেয়েছিলেন একটি ফোন নম্বর।

Bhabanipur Murder: ডাস্টবিনে ছিল ছেঁড়া গোলাপি বিল! তাতে লেখা এটা জিনিসই ধরিয়ে দিল স্বর্ণ ব্যবসায়ীর 'খুনী'কে
লি রোডের ব্যবসায়ী খুনে মূল অভিযুক্ত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 03, 2022 | 1:53 PM

কলকাতা: কলকাতা ছাড়ার পর দাড়ি-গোঁফ ছেটেছিলেন। কখন দাড়ি রেখেছেন, কখনও গোঁফ ছেটেছেন। কখনও চুলের স্টাইলে বদল। বারবার চেহারা বদল আনছিল সে। ঘন ঘন বদলাচ্ছিল ঠিকানাও। তবুও হল না শেষ রক্ষা। আহমেদাবাদ থেকে গ্রেফতার ভবানীপুরের লি রোডের স্বর্ণব্যবসায়ী শান্তিলাল বৈদ্য়ের খুনী বিমল শর্মা। তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনা হচ্ছে।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা যাচ্ছে, শম্ভুনাথ পণ্ডিত রোডের যে গেস্ট হাউজ থেকে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শান্তিলাল বৈদ্যের দেহ উদ্ধার হয়, সেখানে বারবার তল্লাশি চালিয়েছেন গোয়েন্দারা। কিন্তু প্রথম দিকে বিষয়টি চোখ এড়িয়ে যায়। গেস্ট হাউজের তৃতীয় তলার একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয় ব্যবসায়ীর দেহ। সেই ঘরে ছিল দুটো সিঙ্গল খাট। তাতে চাদর টানটান করে পাতা ছিল। আর ছিল কম্বল। ঘরের খাটের পাশে ছিল একটি সেন্টার টেবিল। একটা ফোন ছিল, তার খোলা। সম্ভবত সেই তার গলায় পেঁচিয়েই খুন করা হয়েছিল ব্যবসায়ীকে। আর খাটের পাশে রাখা ছিল একটা ডাস্ট বিন। সেই ডাস্টবিনে কয়েকটি আধপোড়া সিগারেটের টুকরো ছিল। আর ছিল একটা গোলাপি রঙের ছেঁড়া বিল।

ওই গোলাপি রঙের বিলই ধরিয়ে দিয়েছে শান্তিলাল বৈদ্যের ‘খুনী’ বছর আঠাশের বিমল শর্মাকে। গোলাপি রঙের বিলের দুটুকরো একসঙ্গে জোড়া করে তদন্তকারীরা পেয়েছিলেন একটি ফোন নম্বর। বিলটি ছিল গুজরাটের একটি হোটেলের। ওই ফোন নম্বরের সূত্র ধরেই বিমলের কাছে পৌঁছন তদন্তকারীরা।

জানা যায়, ওই নম্বরটি আদতে বিমলেরই। গুজরাটে একটি হোটেলে ওঠার সময়েই ওই নম্বরটি ব্যবহার করেছিল সে। এদিকে, খুনের পর কলকাতা ছাড়ার পর থেকে ঘন ঘন সিম বদলেছে বিমল। কিন্তু এই সিমটি তার সঙ্গেই ছিল। যখন এটিকে মোবাইলে সে ভরেছিল, তখনই লোকেশন ট্র্যাক করেন তদন্তকারীরা। জানা যায়, এক অটো চালকের কাছ থেকেই সিমটি কিনেছিল বিমল।

বিমলকে শেষবার ট্রেস করা গিয়েছিল কটকে। তাতে কলকাতা পুলিশের একটা টিম ওড়িশা পৌঁছয়। ওড়িশা পুলিশের তরফে বিমলের ছবি প্রকাশ করা হয়। কিন্তু বারবার চেহারায় বদল আনায় বিমলকেও শণাক্ত করতে অসুবিধা হয়। অবশেষে বুধবার আহমেদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।

তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, শেষ ১৫ দিন আহমেদাবাদের একটি হোটেলে ওঠেছিল বিমল। সেখানে ওই সিম ব্যবহার করছিল সে। আর তাতেই লোকেশন ট্র্যাক করে ফেলেন তদন্তকারীরা। অবশেষে জালে!

তবে এই খুনের মোটিভও এখন তদন্তকারীদের কাছে স্পষ্ট নয়। কেন মুক্তিপণের টাকা পাওয়ার পরও খুন করা হয়েছিল লি রোডের ব্যবসায়ী শান্তিলাল বৈদ্যকে, আদৌ তাঁর সঙ্গে আততায়ীর কোনও সমকামিতার সম্পর্ক ছিল কিনা, তাও তদন্ত সাপেক্ষ। বিমলের কাছ থেকে সেটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি লি রোডের একটি গেস্ট হাউজ থেকে উদ্ধার হয় শান্তিলাল বৈদ্যের দেহ। স্বর্ণব্যবসায়ী খুনের দিন কুড়ির মধ্যে আততায়ীকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

আরও পড়ুন: Basirhat News: ‘এক মুহূর্ত আগেও ছেলেটাকে দেখে বোঝা যায়নি…’, প্ল্যাটফর্মে ভিড়ের মাঝেই দু’টুকরো হয়ে গেলেন যুবক!