Bidhannagar: বিধাননগরে ফুটপাত দখল করে খাবারের দোকান, মালিকদের নাম-ফোন নম্বর নিতে সকাল থেকে ছুটছে পুলিশ
Mamata Banerjee: গতকালের বৈঠকে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী একদম সরাসরি বলেন, "সল্টলেক আমার বলতে লজ্জা লাগছে। ছবি দেখালে নিজেরাই লজ্জা পাবেন। এআরডি অফিসের সামনের রাস্তাও দখল হয়ে গিয়েছে। একটা করে ত্রিপল লাগাচ্ছেন বসে পড়ছেন।" সরকারি জায়গা দখল করে যারা দোকান করছেন তাদের সরিয়ে দেওয়ার বার্তা দেন তিনি।
কলকাতা: সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের পর থেকেই অতি সক্রিয় পুলিশ আধিকারিকরা। বিধাননগরে শুরু হয়ে গিয়েছে উচ্ছেদের প্রস্তুতি। রাস্তার দু’ধারে ফুটপাত দখল করে বসে থাকা খাবারের দোকানগুলি সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। পুরকর্মীরা একদিকে যেমন ফুটপাত থেকে জঞ্জাল সরাচ্ছেন, তেমনই পথের দু’ধারে গজিয়ে ওঠা আগাছা কাটাও শুরু হয়েছে।
গতকালের বৈঠকে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী একদম সরাসরি বলেন, “সল্টলেক আমার বলতে লজ্জা লাগছে। ছবি দেখালে নিজেরাই লজ্জা পাবেন। এআরডি অফিসের সামনের রাস্তাও দখল হয়ে গিয়েছে। একটা করে ত্রিপল লাগাচ্ছেন বসে পড়ছেন।” সরকারি জায়গা দখল করে যারা দোকান করছেন তাদের সরিয়ে দেওয়ার বার্তা দেন তিনি।
এরপর আজ সকালে দেখা গেল এআরডি অফিস অর্থাৎ প্রাণী সম্পদ বিকাশ উন্নয়ন দফতরের পাশে যে সকল বেআইনি দোকান ফুটপাত দখল করে রয়েছেন তাঁদের নাম এবং ফোন নম্বর সংগ্রহ করল বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। শুধু তাই নয়, ওই ওয়ার্ড অর্থাৎ বিধাননগর পুর নিগমের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডকে পরিষ্কার করতে তৎপর পুরসভার কর্মীরাও। সকাল থেকেই আগাছা পরিষ্কার করছেন তাঁরা। সাফ করা জঞ্জাল। গতকাল মমতার বৈঠকের পর রাত্রিবেলাই সল্টলেক সেক্ট ফাইভের বিভিন্ন ফুটপাত দখলকারী দোকানগুলিতে গিয়ে গিয়ে বার্তা দিয়ে এসেছেন পুলিশকর্মীরা। দোকান সরানোর কাজ শুরু হয়েছে ওয়েবেলের সামনেও। সেই একই ছবি দেখা গেল এআরডি অফিসের সামনেও। এক দোকানদার বলেন, “প্রায় ৪০ বছর ধরে দোকান করছি। কারোর অনুমতি নিয়ে বসিনি। কাউকে টাকাও দিতে হয় না। শুনছি সরিয়ে দেবে বলছে।”