Saraswati Puja: এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ বিজেপি, সরস্বতী পুজো নিয়ে জেলার নেতাদের কাছে গেল বড় নির্দেশ
Saraswati Puja: রবিবার সকালেই হরিণঘাটা বিধানসভার নগর উখড়ায় সরস্বতী পুজোয় অংশ নিতে যান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এখানেও আবার সরস্বতী পুজো নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিস্তর চাপানউতোরও হয়েছিল।

কলকাতা: কলকাতায় একাধিক কলেজে পুজোয় বাধার অভিযোগকে কেন্দ্র করে যখন বিতর্ক চরমে সেই সময় এই সরস্বতী পুজোকে হাতিয়ার করেই সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করতে চাই পদ্ম শিহির। সোজা কথায়, সরস্বতী পুজোকে বাড়তি গুরুত্ব বিজেপির। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই জেলা নেতৃত্বের কাছে বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছে রাজ্য বিজেপি। যত বেশি সম্ভব সরস্বতী পুজোর আয়োজন করার বার্তা দেওয়া হয়েছে জেলাগুলিকে। দলের জেলা কার্যালয় থেকে স্থানীয় এলাকার পুজো গুলিতে বাড়তি দিতে বলেছেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। বিধায়ক-সাংসদরা পুজোয় নিন। বার্তা বিজেপি নেতৃত্বের।
এদিকে সংসদে বাজেট অধিবেশন চলার কারণে সাংসদরা দিল্লিতে ব্যস্ত থাকছেন। সে ক্ষেত্রে তদারকি কাজের প্রয়োজনে টেলিফোনে করতে হবে যাতে পুজোয় বিজেপির লোকজনদের উপস্থিতি চোখে পড়ে। পুজো বেশি করে মনীষীদের পুস্তকবিলির উপরেও জোর দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। সেই বার্তা দিয়েছেন পদ্ম শিবিরের নেতারা। বার্তা গিয়েছে আরএসএসের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের কাছেও। তাঁদের কর্মীরা যেন পুজোয় বেশি করে অংশগ্রহণ করেন সে কথাও বলা হয়েছে।
রবিবার সকালেই হরিণঘাটা বিধানসভার নগর উখড়ায় সরস্বতী পুজোয় অংশ নিতে যান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এখানেও আবার সরস্বতী পুজো নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। নগরউখড়া দাসবেরিয়া দাস গোলডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো হবে। আর তা হবে বিডিওর তদারকিতে। সূত্রের খবর, যে পুজো নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল, সেখানে অবশ্য যাবেন না বিরোধী দলনেতা। এলাকার পুজোয় যাচ্ছেন। তেমনটাই জানিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার।
প্রসঙ্গত, ওই এলাকায় তৃণমূল বুথ সভাপতি আলিমুদ্দিন মণ্ডল স্কুলের টিচার ইনচার্জ কাশীরাম বর্মনকে বিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো করলে তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলি করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তারপরেই হস্তক্ষেপ করে প্রশাসন। ওই স্কুলে পুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। প্রসঙ্গত, কলকাতা থেকে জেলা – সর্বত্র সরস্বতী পুজোয় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে বিজেপি। এই আবহে বিজেপির এই ‘বার্তা’ বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
