কলকাতা: টাটারা ঠিক করেছিল সিঙ্গুরে হবে এক লাখি গাড়ির কারখানা। আর এই কারখানাকে ঘিরে বাংলার শিল্প এক নতুন দিশা পাবে। যদিও টাটাদের এই স্বপ্ন বামেদের দেখানো। ২০০৬ সালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর যেদিন শপথ নিলেন, সেদিনই ঘোষণা করেন হুগলির সিঙ্গুরে টাটা মোটরস তাদের কারখানা করবে। প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু বুদ্ধবাবুর এই ঘোষণাকে কার্যত চ্যালেঞ্জ করেছিলেন সিঙ্গুরের একদল কৃষক। আর সেই কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সেদিনের তৃণমূল নেত্রী তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, শিল্প হোক। তবে কোনও কৃষক জমি দিতে না চাইলে জোর চলবে না। এই দাবিকে সামনে রেখে ২০০৬ থেকে পরবর্তী ৫টা বছর পদে পদে বেগ পেতে হয়েছে সিপিএম সরকারকে। ২০১১ সালে এ রাজ্যে ৩৪ বছরের রাজপাট হারিয়েছে বামেরা। শুধু কী বিরোধীর আন্দোলনের তীব্রতাতেই সিঙ্গুর ‘হারতে’ হয়েছিল সিপিএমকে? টিভি নাইন বাংলার ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু খোলামেলা সে প্রশ্নের জবাব দিলেন।
বিমান বসু বলেন, “প্রথম দিন থেকে ঠিক করে নেওয়া হয়েছিল দক্ষিণপন্থী রাজনীতির ধারক বাহকদের উদ্যোগে বাংলায় অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি করতে দেওয়া যাবে না। এর জন্য দক্ষিণপন্থী রাজনীতির পৃষ্ঠপোষক যারা, তারা অর্থ ব্যয় করেছে। স্টপ দিজ টাটা অটোমোবাইল সেন্টার। কারণ এটা তৈরি হলে অনুসারি শিল্প গড়ে উঠবে। একটা ইন্ডাস্ট্রি হাব তৈরি হবে। দক্ষিণপন্থীদের কাছে এটা তো চিন্তার কারণ। তৃণমূলকে কাজে লাগিয়ে বাংলার আশা ভরসা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।”
কিন্তু প্রশাসন কী করছিল? বিমান বসুর জবাব, “সেটা আমার পক্ষে বাইরে থেকে বলা সম্ভব না। এটা যারা অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে ছিলেন তাঁরা হয়ত বলতে পারেন। তবে সিঙ্গুর হলে যে চেহারা বদলাত তা নিয়ে প্রশ্নের কোনও অবকাশ নেই। প্রশাসনিক কাজে আমি সম্পর্কযুক্ত না। তার খুঁটিনাটি ব্যাপারটা আমি বলতে পারব না।”
কলকাতা: টাটারা ঠিক করেছিল সিঙ্গুরে হবে এক লাখি গাড়ির কারখানা। আর এই কারখানাকে ঘিরে বাংলার শিল্প এক নতুন দিশা পাবে। যদিও টাটাদের এই স্বপ্ন বামেদের দেখানো। ২০০৬ সালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর যেদিন শপথ নিলেন, সেদিনই ঘোষণা করেন হুগলির সিঙ্গুরে টাটা মোটরস তাদের কারখানা করবে। প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু বুদ্ধবাবুর এই ঘোষণাকে কার্যত চ্যালেঞ্জ করেছিলেন সিঙ্গুরের একদল কৃষক। আর সেই কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সেদিনের তৃণমূল নেত্রী তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, শিল্প হোক। তবে কোনও কৃষক জমি দিতে না চাইলে জোর চলবে না। এই দাবিকে সামনে রেখে ২০০৬ থেকে পরবর্তী ৫টা বছর পদে পদে বেগ পেতে হয়েছে সিপিএম সরকারকে। ২০১১ সালে এ রাজ্যে ৩৪ বছরের রাজপাট হারিয়েছে বামেরা। শুধু কী বিরোধীর আন্দোলনের তীব্রতাতেই সিঙ্গুর ‘হারতে’ হয়েছিল সিপিএমকে? টিভি নাইন বাংলার ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু খোলামেলা সে প্রশ্নের জবাব দিলেন।
বিমান বসু বলেন, “প্রথম দিন থেকে ঠিক করে নেওয়া হয়েছিল দক্ষিণপন্থী রাজনীতির ধারক বাহকদের উদ্যোগে বাংলায় অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি করতে দেওয়া যাবে না। এর জন্য দক্ষিণপন্থী রাজনীতির পৃষ্ঠপোষক যারা, তারা অর্থ ব্যয় করেছে। স্টপ দিজ টাটা অটোমোবাইল সেন্টার। কারণ এটা তৈরি হলে অনুসারি শিল্প গড়ে উঠবে। একটা ইন্ডাস্ট্রি হাব তৈরি হবে। দক্ষিণপন্থীদের কাছে এটা তো চিন্তার কারণ। তৃণমূলকে কাজে লাগিয়ে বাংলার আশা ভরসা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।”
কিন্তু প্রশাসন কী করছিল? বিমান বসুর জবাব, “সেটা আমার পক্ষে বাইরে থেকে বলা সম্ভব না। এটা যারা অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে ছিলেন তাঁরা হয়ত বলতে পারেন। তবে সিঙ্গুর হলে যে চেহারা বদলাত তা নিয়ে প্রশ্নের কোনও অবকাশ নেই। প্রশাসনিক কাজে আমি সম্পর্কযুক্ত না। তার খুঁটিনাটি ব্যাপারটা আমি বলতে পারব না।”