Bowbazar: বউবাজারে মেজাজ হারালেন কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে, উদ্যত হলেন ‘চড়’ মারতে, কেন?

Bowbazar: অস্থায়ী ক্যাম্পে অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন স্থানীয় এক হোটেলের মালিক। তাঁর অভিযোগ, আইটিডি নামে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে। তাঁরা ঠিকমতো খাবার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ।

Bowbazar: বউবাজারে মেজাজ হারালেন কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে, উদ্যত হলেন ‘চড়’ মারতে, কেন?
বউবাজারের অস্থায়ী ক্যাম্পের ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 16, 2022 | 2:40 PM

কলকাতা: বউবাজারের বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগের কথা শোনার জন্য খোলা হয়েছে অস্থায়ী ক্যাম্প। রবিবার সকাল থেকেই চালু হয়েছে ক্যাম্পটি। সকাল থেকে ক্যাম্পে ভিড়। আর প্রথম দিনেই ব্যাপক উত্তেজনা। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের দেখভাল এবং খাওয়া-দাওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আইটিডি নামে একটি সংস্থাকে। সেই সংস্থার এক কর্মীর উপর বেজায় চটে গেলেন স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। এমনকী তাঁকে ‘চড়’ মারতেও উদ্যত হন কাউন্সিলর। কিন্তু কেন এমন চটে গেলেন কাউন্সিলর?

অস্থায়ী ক্যাম্পে অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন স্থানীয় এক হোটেলের মালিক। তাঁর অভিযোগ, আইটিডি নামে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে। তাঁরা ঠিকমতো খাবার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। সেই সময় ওখানে উপস্থিত ছিলেন এক আইটিডির কর্মীও। অভিযোগ, ওই আইটিডি কর্মী হঠাৎই ওই হোটেল মালিককে বলে বসেন, তিনি ওড়িশা থেকে এখানে এসে ব্যবসা করে খাচ্ছেন। ওই ব্যক্তির মুখে এ হেন কথা শুনেই বেজায় বিরক্ত হন সেখানে উপস্থিত কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। প্রচণ্ড রেগে গিয়ে তিনি ওই আইটিডি কর্মীকে ‘চড়’ মারতেও উদ্যত হন।

ঘটনার বিষয়ে কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে বলেন, “আমরা যাঁরা এখানে আছি, সবটাই আমরা মানবিকভাবে দেখতে চাই। আমাদের এই মদন দত্ত লেনে বিপর্যস্ত অঞ্চলের মধ্যে একটি হোটেল ছিল। সেটি বহু বছরের পুরনো হোটেল। ওড়িশার বসবাসকারী মানুষরা এই হোটেলটি চালান। যিনি হোটেলের মালিক ওড়িশায় গিয়েছিলেন, ছেলে হোটেলটি চালাচ্ছিলেন। হোটেলের মালিক গতকাল ফিরেছিলেন। কিন্তু বিপর্যস্ত হোটেলে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাই তিনি ছেলের কাছে হোটেলে (যেখানে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে) যান। কিন্তু তাঁকে খাবার দেওয়া হচ্ছে না। তাঁকে বলা হচ্ছে, তুমি ওড়িশা থেকে এসেছো। তুমি এখানকার লোক না। তাই তোমার খাবার বন্ধ।”

কাউন্সিলর আরও বলেন, “যখন আইটিডির থেকে ছেলেটি আসে, তখন আমি ওকে বললাম। কিন্তু উনি বলছেন, ও ওড়িশা থেকে এসেছে। মানে, আমার থেকেও উনি বেশি জানেন, কে কোথা থেকে এসেছে। ওড়িশা থেকে কেউ দুই মুঠো খেতে এখানে আসেনি। এরা এখানে চার পুরুষের বাস। এসব দেখলেই বিরক্ত হয়ে যাই। আমি আইটিডির উপর ক্ষুব্ধ।”