আজ, বুধবার ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ ও মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে আন্দোলনকারীদের উপরে পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদেই আজ ১২ ঘণ্টার তদন্তের ডাক দিয়েছে বিজেপি। গতকালই সাংবাদিক বৈঠক করে এই কথা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে, রাজ্য সরকার জানিয়েছে, এই বনধের বিরোধিতা করা হবে। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ আবার তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদেরও প্রতিষ্ঠা দিবস রয়েছে। একদিকে বনধ, আরেকদিকে সভা- দুই মিলিয়ে বাংলার পরিস্থিতি কী হয়, তা দেখুন সরাসরি-
বিজেপির বনধকে সর্বনাশা বনধ বলে কটাক্ষ তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসেই কেন বনধ? প্রশ্ন তৃণমূল নেতার।
রঘুনাথগঞ্জ থানার অন্তর্গত রঘুনাথগঞ্জ লালগোলা রাজ্য সড়কের তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধানের ইয়াকুব আলির নেতৃত্বেই শহর জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তৃণমূলের বাইক বাহিনী। বনধের বিরোধিতায় তৃণমূলের বাইক মিছিল। বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টা বনধে সকাল থেকে বিজেপি যেমন রাস্তায় নেমেছে, সেরকম পাল্টা বনধ বিরোধিতায় রাস্তায় বাইক মিছিল তৃণমূলের।
মানকুন্ডু স্টেশনের রেল অবরোধ ঘিরে ধুন্ধুমার। লাঠিচার্জ পুলিশের। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ। অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। ভোগান্তি যাত্রীদের।
বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় উত্তেজনা। বনধ সমর্থকদের সাথে পুলিশের বচসা। ধস্তাধস্তি। জোর করে বাঁকুড়া দুর্গাপুর রাজ্য সড়কে বড়জোড়া চৌরাস্তার মোড়র কাছে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করতে গেলে বিজেপি কর্মীদের রাস্তা থেকে সরানোর চেষ্টা করে পুলিশ। এরপরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্ধকে ঘিরে তৃণমূল বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ। তৃণমূল কর্মীদের মারে মাথা ফাটল দুই বিজেপি নেতার। মোট আহত ৫-৬ জন। বুধবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর পৌরসভার শিবপুরে এলাকায়। জখম দুই বিজেপি কর্মীকে ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় রসিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে। এদিকে এই হামলার কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বেহালা ব্লাইন্ড স্কুলের সামনে কয়েক জন বিজেপি কর্মীকে বেহালা থানার পুলিশ আটক করল মিছিল করার ঠিক আগেই পুলিশের ধরপাকড়।
কলকাতার মুচিপাড়া বাজার উত্তপ্ত। রাস্তায় বেরিয়েছেন ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। বনধের সমর্থনে রাস্তায় নেমে যে সকল দোকান খোলা ছিল তা বনধের আর্জি জানান তিনি। এরপরই পথে নামে তৃণমূল। তৈরি হয় উত্তেজনা।
উত্তপ্ত ভাটপাড়া। বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের। বিজেপি নেতার দাবি, এরা হল তৃণমূলের গুন্ডা। এসিপির অফিসের পাশে এরা জুয়া খেলে। হেরোইন বিক্রি করে। টিটুয়া আর সোনুয়া গুলি চালিয়েছে। এরা সকলে তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের সঙ্গে থাকে। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ।
শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশন অবরোধ করতে আসে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তৎক্ষণাৎ কর্মী সমর্থকদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
কৃষ্ণনগরেও রেললাইনে নেমে বিক্ষোভ বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। বন্ধ রেল চলাচল।
রায়গঞ্জে বনধ ঘিরে ধুন্ধুমার। পুলিশকে শাড়ি পরানো হবে, এই দাবি তুলে পথে শাড়ি নিয়েই বিক্ষোভ বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বাড়ি থেকে লোকজন আনা হচ্ছে, জোর করে দোকান খোলানো হচ্ছে।
সোনারপুরে বিজেপির ট্রেন অবরোধ। সোনারপুরে রেল লাইনের উপর শুয়ে ট্রেন অবরোধ। জোর করে অবরোধ তুলল পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা ধস্তাধস্তিও হয়। ঘটনায় গ্রেফতার কমপক্ষে ১৫ বিজেপি নেতা কর্মী। পরে সোনারপুর থানাতেও পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা।
টালা ব্রিজে বনধ সফল করতে অবরোধ বিজেপি কর্মীদের। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা।
বিজেপি কর্মী সমর্থকদের তরফে রাজ্য সরকারের খাদ্য ভবনে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় তালা। বনধ সফল করতে সরকারি কর্মচারীদেরকে কাজে যোগদান না করার কথা বলা হয় বিজেপির তরফে।
বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধ ঘিরে সাতসকালেই তুমুল সংঘর্ষ মালদহে। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের। দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও, তাদের কার্যত হিমশিম খেতে হয়। দুই দলের কর্মীদের মধ্যে মারপিট শুরু হয়ে যায়।
জোর করে বনধ পালন করানোর চেষ্টা বিজেপির। বারাসতে চাপাডালি মোড়ে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা জোর করে দোকান বন্ধ করিয়ে দেয়। রাস্তায় বেরনো গাড়িগুলি ভাঙচুর করে।
ধর্মতলা চত্বর স্বাভাবিক থাকলেও, বিজেপি কর্মীদের তরফে এসপ্ল্যানেড মেট্রোর বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা। মেট্রোর ৫ নাম্বার গেটের সামনে এসে স্লোগান বিজেপির কর্মী সমর্থকদের। তাদের বক্তব্য মানুষ বন্ধ চাইছে, কিন্তু পুলিশ তা করতে দিচ্ছে না।
ভবানীপুরে বনধ পালন করতে হাজির বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। যদুবাবুর বাজারে এক পুলিশ কর্তার সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেত্রী। প্রশ্ন করেন, কেন গতকাল লাঠিচার্জ করা হল আন্দোলনকারীদের উপরে?
বিজেপির ডাকা বাংলা বন্ধে ওভারহেড তারে কলাপাতা, ট্রেন চলাচল বন্ধ বন্ধ শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার লক্ষীকান্তপুর লাইনে। বুধবার সকাল থেকেই ট্রেন চলাচলে প্রভাব পড়েছে। গোচরণ স্টেশনের আপ লাইনে রেলের ওভারহেড তারে কলাপাতা দেওয়ার কারণে আপ ট্রেন চলাচল বন্ধ। দক্ষিণ বারাসাত,গোচরণ, ধপধপি সহ বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়েছে।
সাতসকালে মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন প্রান্তে টায়ার জ্বালিয়ে দিল বন্ধ সমর্থনকারীরা। মেদিনীপুর শহরের বাস স্ট্যান্ড, কেরানিতলা, এবং জেলা বিজেপি পার্টি অফিসের সামনে ভোর থেকে টায়ার জ্বলতে দেখা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। টায়ার নিভিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।
হুগলি স্টেশনে ব্যান্ডেল হাওড়া লোকাল অবরোধ করল বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বিজেপির ডাকা ১২ ঘন্টা বনধে,সকালেই রেল অবরোধ করল হুগলি জেলা বিজেপি কর্মীরা। রেল লাইনে শুয়ে পড়ে বিজেপি কর্মীরা।ঘটনাস্থলে উপস্থিত চুঁচুড়া থানার পুলিশ।
বিজেপি ডাকা ১২ ঘন্টা বাংলা বনধের সমর্থনে সকাল ছয়টা থেকে বালুরঘাট সরকারি বাস স্ট্যান্ডের সামনে পিকেটিং বিজেপির। পালটা বনধ ব্যর্থ করতে পিকেটিং তৃণমূল কংগ্রেসের৷ এদিন সরকারি বাস আটকানোর জন্য গাড়ির নীচে শুয়ে পড়েন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। ঘটনায় বিজেপি কর্মীদের কার্যত টেনে হিঁচড়ে বের করা হয়। গ্রেফতার করা হয় বালুরঘাট টাউন বিজেপির সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্তকে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
বনগাঁ স্টেশনেও রেল অবরোধ। সকালবেলা বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক ঘটক কীর্তনীয়া নেতৃত্বে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা আসে বনগাঁ স্টেশনে। তারা রেল স্টেশনে অবরোধ করে দেয়।
ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির। প্রথমে জিয়াগঞ্জ স্টেশনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এরপর মুর্শিদাবাদ স্টেশন ডাউন ভাগীরথী এক্সপ্রেস আটকে দেয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপির ডাকে ১২ ঘন্টা বনধ সফল করতে রাস্তায় নামে বিজেপি কর্মীরা।
বিজেপির ডাকা ১২ঘন্টা বাংলা বনধে সকাল থেকেই বিজেপি কর্মীরা অবরাধে সামিল। পুরুলিয়া রেল স্টেশনে লাইনের ওপরে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী দলের পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। ফলে পুরুলিয়া-আসানসোল মেমু আটকে যায়। ঘটনাস্থলে রেল পুলিশ।
বিজেপির ডাকা ১২ ঘন্টা বনর্ধে মিশ্র প্রভাব পড়েছে বর্ধমানে।জেলার বেশিরভাগ বেসরকারি স্কুল আজ বন্ধ থাকবে।গতকালই তারা নোটিস দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে। টাউন সার্ভিস বাস চলাচল করছে, তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম। এখনও পর্যন্ত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক। তবে বেলা বাড়লে আসল চিত্র ফুটে উঠবে। দূরপাল্লার বেসরকারি বাস রাস্তায় নেমেছে তবে তাও সংখ্যায় কম।তবে সরকারি বাসের দেখা মিলছে না।
বনধের শুরুতেই অশান্তি। কোচবিহারে বনধ পালন করতে গিয়ে আটক দুই বিজেপি বিধায়ক। আটক করা হয় তুফানগঞ্জের বিধায়ক মালতী রাভা রায় ও কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে-কে। তাঁদের জোর করে পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। উত্তপ্ত পরিস্থিতি।