BJP National Executive Meeting: পাখির চোখ পুরভোট; দিল্লি ছেড়ে বাংলাতে মন দিক বঙ্গনেতারা, পরামর্শ শীর্ষ নেতৃত্বের

BJP: সূত্রের খবর, এমনও নাকি ইঙ্গিত সর্বভারতীয় নেতৃত্ব, প্রয়োজনে দিলীপ ঘোষ দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন।

BJP National Executive Meeting: পাখির চোখ পুরভোট; দিল্লি ছেড়ে বাংলাতে মন দিক বঙ্গনেতারা, পরামর্শ শীর্ষ নেতৃত্বের
রাজ্যের পুরভোটে মন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 07, 2021 | 10:40 PM

কলকাতা: রাজ্যের পুরভোটে মন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বঙ্গ বিজেপি (BJP) নেতাদের। দিল্লি থেকে এসেছে সে নির্দেশ। সূত্রের খবর, দলের সর্বভারতীয় নেতাদের পরামর্শ, সামনে কলকাতায় পুরভোট। তাই এখন বঙ্গ নেতাদের দিল্লি যাওয়ার দরকার নেই। বরং তাঁরা বাংলায় থেকে ভোটের দিকে মন দিন। সূত্রের খবর, সে ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে দিলীপ ঘোষের। দরকার পড়লে তিনিই দিল্লি যাবেন বলেও দিল্লি থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের দাবি।

রবিবার বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠক ছিল দিল্লিতে। বাংলার ২২ জন নেতা এই বৈঠকে যোগ দেন। দিলীপ ঘোষ, অনুপম হাজরা ছিলেন দিল্লি থেকে। স্বপন দাশগুপ্ত থাকতে পারেন, এমনটাও শোনা গিয়েছে। তবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হল বিরোধী দলনেতা, বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে রাজ্যেই থাকার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, এদিন কলকাতায় দলীয় কার্যালয় থেকে সেই বৈঠকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা।

এমনও শোনা যাচ্ছে, তাঁদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এখন অহেতুক দিল্লি না এসে কলকাতা ও হাওড়ার ভোট নিয়ে ব্যস্ত থাকুন। ১৯ ডিসেম্বর ভোট। তাই তার আগে মাটি কামড়ে বাংলাতেই পড়ে থাকুক রাজ্য নেতারা, চায় দিল্লি নেতৃত্ব।

সূত্রের খবর, এমনও নাকি ইঙ্গিত সর্বভারতীয় নেতৃত্ব, প্রয়োজনে দিলীপ ঘোষ দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। যেহেতু দিলীপ ঘোষ দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। একই সঙ্গে তিনি সাংসদ। ফলে দিল্লিতে তাঁকে যাতায়াত করতেই হয়। তাই তাঁর নাম উঠে এসেছে বলেই সূত্রের খবর।

জাতীয় কার্যসমিতির বৈঠকে রাজ্যগুলির বেশিরভাগ নেতাই ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন। হাতে গোনা কিছু নেতা দিল্লিতে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। আর সেই সশরীরে উপস্থিতি নেতাদের তালিকায় ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার বৈঠক শেষে দিলীপ ঘোষ জানান, “প্রধানমন্ত্রী দলীয় নেতা-কর্মীদের উৎকর্ষতার সঙ্গে জনসংযোগের কথা বলেছেন। শুধুই রাজনীতি নয়, সামাজিক গুরুত্বের কথাও বিচার করতে হবে।”

একই সঙ্গে তিনি জানান, “বাংলার হিংসা নিয়ে গোটা দেশ চিন্তিত। দলের নেতাদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। গোয়া, তামিলনাড়ু ও মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন বাংলায় হিংসা যেন গোয়ায় না দেখা যায়। রাজনীতির মধ্যে হিংসা আসা উচিত নয়।”

রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার যে অভিযোগ বার বার প্রকাশ্যে এসেছে, এদিনও সেই কথা আরও একবার উঠে আসে বিজেপির জাতীয় কার্যসমিতির বৈঠকে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাও বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জে পি নাড্ডা বাংলাকে নিয়ে আশার আলোর দেখছেন বলেও মনে করছেন দিলীপ ঘোষ। নাড্ডা জানিয়েছেন, “আমাদের ৫৩ জন কর্মী নিহত হয়েছেন। মানুষ এখনও সেখানে ভয়ে অন্য কোথাও গিয়ে লুকিয়ে রয়েছেন। আইনি পদ্ধতিতে হিংসা দমন করে গণতান্ত্রিক উপায়ে বাংলায় সরকার গড়ব।”

আরও পড়ুন: মা উড়ালপুলে গাড়ি সাইড করেই ঝাঁপ যুবকের! গাড়িতে সরকারি স্টিকার লাগানো