Sukanta on Kunal: বঙ্গে মোদী, কুণাল পদ ছাড়তেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য সুকান্তর
Sukanta on Kunal: আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও। তিনি বলছেন, “এসব অনেক দেখেছি। তৃণমূল যখন ওকে জেলে ঢুকিয়েছিল তখন কী ছিলেন? তারপর টিএমসি ওকে মহামন্ত্রী বানিয়েছে। রোজ রূপ পাল্টালে লোকে বিশ্বাস করবে নাকি।”
কলকাতা: এক্স হ্যান্ডেল থেকে আগেই সরিয়েছেন রাজনৈতিক পরিচয়। এক্স হ্যান্ডেলে নিজের ‘বায়ো’তে বদল। নিজেকে শুধুই ‘জার্নালিস্ট’ ও ‘সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট’ বলে লিখেছেন কুণাল ঘোষ। খানিক আগেই খবর মিলেছে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদের পাশাপাশি দলীয় মুখপাত্রের পদ থেকেও সরছেন। যা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে জোর শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। খোঁচা দিতে ছাড়েনি পদ্ম শিবির। বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলছেন, “অপেক্ষা করুন না। লোকসভা ভোট আসতে দিন, তারপর দেখবেন কতজনের কত কী উঠে যাবে।”
আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও। তিনি বলছেন, “এসব অনেক দেখেছি। তৃণমূল যখন ওকে জেলে ঢুকিয়েছিল তখন কী ছিলেন? তারপর টিএমসি ওকে মহামন্ত্রী বানিয়েছে। রোজ রূপ পাল্টালে লোকে বিশ্বাস করবে নাকি।”
সূত্রের খবর, কলকাতারই এক প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে কুণালের। ওই নেতার ভূমিকায়, কাজে দলের ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে করছেন কুণাল। এমনটাই তাঁর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা যাচ্ছে। কিন্তু, কে সেই নেতা তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। খোঁচা দিতে ছাড়েনি আইএসএফও। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে এখন লড়াই চলছে কে কত তোলা তুলতে পারবেন, কাকে কে কতটা কন্ট্রোল করতে পারবেন তা নিয়ে লড়াই চলছে। সিন্ডিকেটরাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রেষারেষি চলছে। সুতরাং কে কার বিরুদ্ধে বলছে, কার বিরুদ্ধে সমালোচনা করছে এটা নতুন নয়। কুণালবাবু কলকাতার একজন সাংসদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত আক্রমণ করছেন। এটা তৃণমূল কংগ্রেসের কালচার। ওদের আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ নিয়ে আমাদের ভাবার সময় নেই। আমাদের কাজ তৃণমূলের অপশাসন থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়া।
অন্যদিকে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলছেন, এই বিষয়ে আমি কোনও আলোকপাত করতে পারব না। আমার মনে হয় যে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের একটা ব্যক্তিগত পরিসর থাকে। তৃণমূল পরিবারের অত্যন্ত সম্মানীয় সদস্য কুণাল ঘোষ। তাই তাঁর ব্যক্তিগত পরিসরকে আমাদের সকলের সম্মান করা উচিত।