BJP: দেখলেন, শুনলেন, নোট নিলেন বনশল, এবার কি কমবে ‘দূরত্ব’?
BJP: কয়েকমাস পরই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এদিন সল্টলেকে বিজেপির দফতরে এক এক করে ২৬ জন বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেন বনশল। এই ২৬ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

কলকাতা: বিজেপির সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে কি দলের বিধায়কদের দূরত্ব বাড়ছে? বেশ কিছুদিন ধরেই নানা অভিযোগ সামনে আসছিল। এবার গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনশলের কাছেই নানা অভিযোগ তুলে ধরলেন বিজেপি বিধায়ক। শনিবার ২৬ জন বিধায়কের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে বৈঠক করেন বনশল। সূত্রের খবর, বৈঠকে বিধায়কের বক্তব্য মন দিয়ে শুনেছেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক। তবে তিনি কিছু বলেননি।
আর কয়েকমাস পরই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এদিন সল্টলেকে বিজেপির দফতরে এক এক করে ২৬ জন বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেন বনশল। এই ২৬ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, বৈঠকে বিধায়করা তাঁর এলাকার সমস্যার কথা বলছেন। তবে আলোচনায় মূলত উঠে এসেছে স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্বের কথা।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বনশলের সঙ্গে বৈঠকে বেশ কয়েকজন বিধায়ক অভিযোগ করেন, স্থানীয় নেতৃত্ব একাধিক কর্মসূচি নেয়। অথচ এলাকার বিধায়ক হিসেবে তাঁদের সঙ্গেই যোগাযোগ করা হয় না। আবার কেউ বলেছেন, সংগঠনের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন। তার ব্যবস্থা করতে হবে।
জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হয়েছিল বিধায়কদের। সেই সময় অনুসারেই নিজেদের কথা বলেছেন তাঁরা। তবে কেউ নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে বেশিক্ষণ কথা বলতে চাইলেও বলতে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, বিধায়কদের কথা শুনেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক। নোট নিয়েছেন। তবে কোনও মন্তব্য করেনি।
বিধায়কদের সঙ্গে আলাদা আলাদ করে বৈঠকে সবাইকে ডাকা হয়নি। যাঁরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন, তাঁদের ডাকা হয়েছিল। মোট ২৬ জন বিধায়কের সঙ্গে এদিন বৈঠক করেন বনশল। এর আগে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দলের ‘দূরত্ব’ বাড়ার পর্বেও এমন ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক হয়েছিল। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আলাদা আলাদা করে বৈঠক করেছিল সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, পাঁচ সাধারণ সম্পাদক আরও কয়েকজন নেতার সঙ্গে।
কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে দলের বিধায়কদের বৈঠক নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “সুনীল বনশলজি এসেছেন। বিধায়কদের অনেকদিনের বক্তব্য ছিল, তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। বিজেপিতে বিধায়ক-সহ অন্য নেতৃত্বরা সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান। কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে দলে জানানোর সুযোগ রয়েছে। তাই পোস্টারবাজি করার দরকার নেই।”





