AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Suvendu Adhikari on Soumen Mahapatra: ‘সৌমেনবাবু প্রতিদিন সুরা পান করেন, তমলুকে সবাই জানে’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

Soumen Mahapatra: রবিবারই শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেতা সৌমেন মহাপাত্র।

Suvendu Adhikari on Soumen Mahapatra: 'সৌমেনবাবু প্রতিদিন সুরা পান করেন, তমলুকে সবাই জানে', বিস্ফোরক শুভেন্দু
সৌমেন মহাপাত্র সম্পর্কে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Nov 08, 2021 | 5:55 PM
Share

কলকাতা: একদিন আগেই নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বিস্ফোরক দাবি করেছেন। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন বলে দাবি করেন সৌমেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, শুভেন্দুর তৃণমূলে ফেরা এখন সময়ের অপেক্ষা। সোমবারই পাল্টা সৌমেনকে এক হাত নেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘দিনেও সুরা পান করেন। সে কারণেই এসব কথা ওনার মাথায় এসেছে।’

সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “সৌমেনবাবু প্রত্যেকদিন সুরা পান করেন। কাল দিনের বেলাও করেছিলেন বলে আমার মনে হয়। এ ধরনের কথা বলা উচিৎ না, তবু দায়িত্ব নিয়ে বলছি। তমলুকে সবাই জানে। মানিকতলাতে একটা ওষুধের দোকানের পিছনে উনি কী করেন সন্ধ্যার পরে তা সকলেই জানেন। আমার মনে হয় কাল দিনের বেলাতেও অপ্রকৃতস্থ ছিলেন। তাই এ ধরনের কথা বলেছেন।”

প্রসঙ্গত, রবিবার নন্দীগ্রামের সীতানন্দ কলেজের মাঠে একটি সভার আয়োজন করেছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখানে সৌমেন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দোলা সেন, পূর্ণেন্দু বসু এবং অখিল গিরিরা। সেখানেই সৌমেন মহাপাত্র দাবি করেন, “বিরোধী দলনেতা পদটা থাকবে কি না, সন্দেহ আছে। এই নন্দীগ্রামে একটা উপনির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ বিরোধী দলনেতার পদে যিনি আছেন, তিনি তাঁর দল থেকে যেভাবে আমাদের দলের দিকে সরে আসছেন, তাঁর দলের প্রায় সবাই চলে আসছেন, ওঁর আসা সময়ের অপেক্ষা। তবে কবে আসবেন নাকখত দিয়ে, তা সময়ই বলবে। আসনের সংখ্যা ৩০-এর কম হয়ে গেলে বিরোধী দলনেতা পদটা থাকবে না।”

গত শনিবার থেকে আবারও শিরোনামে নন্দীগ্রাম। এদিন এলাকারই তৃণমূল নেতা রবীন দাসের স্মরণ সভায় গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন তৃণমূল নেতা আবু তাহের। তিনি সরাসরি বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীই জমি আন্দোলনের নেতা নিশিকান্ত মণ্ডলকে লোক লাগিয়ে খুন করিয়েছেন।”

কে এই নিশিকান্ত মণ্ডল? ২০০৯ সালের ২২ নভেম্বর মৃত্যু হয়েছিল নিশিকান্ত মণ্ডলের। নিশিকান্ত সোনাচূড়ায় সে সময় অঞ্চল প্রধান ছিলেন। সেদিন সন্ধ্যা নাগাদ বাড়ি ফেরার সময়ে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পিছনে মাওবাদী নেতা কিষানজির নাম উঠে এসেছিল। ঘটনার ১২ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। এতদিন পর এ নিয়ে মুখ খোলায় বিরক্ত নিশিকান্তের পরিবারও। তাদের দাবি,  কেন ১২ বছর চুপ ছিলেন আবু তাহের?

তৃণমূলের অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামে ধর্মীয় মেরুভেদ তৈরি করতে উদ্যত। আর সে কারণেই তাঁর ঘনিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও একাধিক নেতা শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারীর ছায়াসঙ্গী হিসাবে পরিচিত আবু তাহেরও ১২ বছর পর তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন।

আরও পড়ুন: Municipal Election: সব পুরসভায় এক সঙ্গে ভোট চায় বিজেপি, আদালতে যাচ্ছেন শুভেন্দু-সুকান্তরা