Municipal Election: সব পুরসভায় এক সঙ্গে ভোট চায় বিজেপি, আদালতে যাচ্ছেন শুভেন্দু-সুকান্তরা
Bengal BJP: এক সঙ্গে ভোট চেয়ে সোমবার একটি জনস্বার্থ মামলা দায়েরও হয়েছে।
কলকাতা: সব পুরসভায় এক সঙ্গে ভোট চায় বিজেপি। খুব তাড়াতাড়ি এই দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে তারা। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর বক্তব্য, বিজেপি রাজ্যের সব পুরসভা, পুরনিগমে একসঙ্গে ভোটে লড়ার ক্ষমতা রাখে। কলকাতা-হাওড়ায় রাজনৈতিক স্বার্থে এ রাজ্যের শাসকদল আলাদা করে ভোট করাতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, “আমরা সমস্ত পুরসভা বা কর্পোরেশনে একসঙ্গে ভোট চাই। আমরা সেই লক্ষ্যে আদালতেও যাচ্ছি। জনস্বার্থ মামলা করব। আজ একটি মামলা হয়েছে। আমরাও যাব। কারণ, হাওড়া ও কলকাতা কর্পোরেশনে আগে ভোট করিয়ে নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত, তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানাব, যদি একসঙ্গে ভোট না করানো যায়, সে ক্ষেত্রে গণনা একসঙ্গে করাতে হবেই। বিজেপি যখন একসঙ্গে ভোট চাইছে তার মানে বিজেপির সেই ক্ষমতা আছে সমস্ত পুরসভা ও পুরনিগমে একসঙ্গে আমরা লড়তে পারব।”
প্রসঙ্গত,১ ৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়ায় ভোট চেয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। এদিকে বিজেপির বক্তব্য, শতাধিক পুরসভায় ভোট বাকি। প্রশাসকমণ্ডলী পরিষেবা দিচ্ছে। কেন তা হবে। বিধানসভা, উপনির্বাচন হয়েছে। এবার পুরভোটও হওয়া দরকার। প্রয়োজন পড়লে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে হবে বলেও দাবি রাজ্য বিজেপির।
এই দাবিকে সামনে রেখেই বিজেপি আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে। আদালত কী রায় দেয় তার উপর তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কোন দিকে হবে তা স্থির হবে। তবে বিজেপি সূত্রে খবর, এ নিয়ে হাইকোর্টের রায় সন্তোষজনক না হলে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হতে পারে তারা।
এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, “আমরা প্রথম থেকেই এই দাবি করে এসেছি। যে ভোটগুলো কাছাকাছি সময়ে হয়, তা এক সঙ্গে হোক সেটাই সকলে চান। বাম আমলেও তাই হয়েছে। একটা ফেব্রুয়ারিতে হবে, আরেকটা মার্চে হবে! এর তো কোনও যুক্তি নেই। একসঙ্গেই ছিল। কেন আলাদা করা হচ্ছে কে জানে। এখন তো সমস্ত পুরসভা বেআইনি। আইনি পুরসভা বলে পশ্চিমবঙ্গে কিছু নেই। এক বছর, দু’বছর, তিন বছরের সব বেআইনি পুরসভা। সবকটায় ভোট হওয়া দরকার। তা হলে দফায় দফায় ভোট করানোর কী যুক্তি।”
সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, কোনও সমস্যা থাকলে বলতে পারত, পুরনিগমগুলি একসঙ্গে হবে। পুরসভাগুলি একসঙ্গে হবে। তাও না। কর্পোরেশনের মধ্যেও সবক’টা হবে কি না, সল্টলেকটা বাদ চলে যাবে কি না। আলাদা করে দু’টোতে ভোট করানো একটা ছক, দাবি সুজনের।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “আদালতের দরজা সকলের জন্য সব সময়ই খোলা। বিজেপির তো মানুষের উপর কোনও আস্থা নেই। তাই ওরা বারবার আদালতে ছোটে। আমাদের দল জনতার আদালতে বিশ্বাস করে। এখন সমস্ত পুরসভায় একসঙ্গে ভোটের কথা বলছে। অথচ বিধানসভায় এতগুলো দফায় ভোট করানো হল কেন? এগুলো জন সমর্থন হারিয়ে পাগলের প্রলাপ বকা।”
আরও পড়ুন: Bengal BJP: সব রস এখন উধাও হয়ে গিয়েছে!’, বুদ্ধিজীবীদের নজিরবিহীন আক্রমণ বিজেপির রাজ্য সভাপতির