কলকাতা: বিজেপির টিকিটে জেতা বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। বৃহস্পতিবার কলকাতায় তৃণমূলের মিছিল ছিল। সকলকে চমকে দিয়ে হঠাৎই সেই মিছিলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দেখা যায় সবুজ পঞ্জাবি পরা মুকুটমণি অধিকারীকে। পরে সেই মিছিল থেকেই ঘাসফুল পতাকা হাতে তুলে নেন রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক। মুকুটমণির এই দলবদল নিয়ে বিজেপির লিগাল সেলের সদস্য তরুণজ্যোতি তিওয়ারি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। নির্দিষ্ট করে কারও নাম না করলেও ওই পোস্টে দলের দিকেই নিশানা করেন তরুণজ্যোতি। কীভাবে মুকুটমণিকে টিকিট দেওয়া হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তরুণজ্যোতি তিওয়ারি ফেসবুকে লেখেন, মুকুটমণি অধিকারীর খবর তাঁর কাছে কয়েকদিন আগেই এসেছিল। তিনদিন আগে একজন ফোনে তাঁকে জানিয়েছিলেন বিষয়টি। তরুণজ্যোতির বক্তব্য, ‘আমার মত সাধারণ লোকের কাছে যখন খবর আছে, তখন নিশ্চয়ই উচ্চ নেতৃত্বও জানত। আর তা জানত বলেই লোকসভার অর্থাৎ রানাঘাটের টিকিট দেওয়া হয়নি।’
তরুণজ্যোতির প্রশ্ন, ‘আমার প্রশ্নটা অন্য জায়গায়। কোনও রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়া, শুধুমাত্র কিছু লোকের ইচ্ছাকে মান্যতা দেওয়ার জন্য এই রকম লোককে টিকিট কেন দেওয়া হয়? কী অবদান ছিল এই লোকটার পার্টিতে, যে এই লোকটা বিধানসভায় টিকিট পেয়েছিল?’
বিজেপির লিগাল সেলের এই সদস্যর দাবি, মুকুটমণির উপর তাঁর কোনও রাগ নেই। লেখেন, ‘রাগ সেই সব বিখ্যাত ব্যক্তিদের উপর হয় যারা এদের টিকিট দেয়। সন্দেশখালির ঘটনায় মুকুটমণি সন্দেশখালি যাচ্ছিল এবং সে নিজে ওখানকার অবস্থা জানে। তারপরও নারী দিবস উপলক্ষে তৃণমূলের মিছিলে পা মেলাতে লজ্জা করল না?’
অন্যদিকে মুকুটমণি বিজেপি ছাড়তেই এক্স হ্যান্ডেলে সরব হন শুভেন্দু অধিকারী। গত বছরই এই বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ সামনে আসে। স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী নামে এক যুবতী অভিযোগ করেন, রেজিস্ট্রি বিয়ে করেও সামাজিক ক্ষেত্রে স্ত্রীকে পরিচয় দিচ্ছেন না বিধায়ক। এমনকী রেজিস্ট্রির পর থেকে ডিভোর্সের জন্যও চাপ দিচ্ছেন। তা নিয়ে স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী তিলজলা থানায় এফআইআরও করেন।
Charge Sheet No. – 05/24
Charge Sheet Filed on. – 10/02/2024
Charge Sheet Filed by – Tiljala Police Station under Kolkata Police.
Department – Home and Hill Affairs; Govt of WB.
Minister in Charge of Concerned Department – Mamata Banerjee.
Name of Chargesheeted Person – Dr.… pic.twitter.com/JDGY13ln0v— Suvendu Adhikari (Modi Ka Parivar) (@SuvenduWB) March 7, 2024
এদিন শুভেন্দু সে প্রসঙ্গই তুলে আনেন। মুকুটমণি অধিকারী নিয়ে বধূ নির্যাতনের অভিযোগকে অস্ত্র করে আক্রমণাত্মক বিরোধী দলনেতা। লেখেন, জেলে যাওয়ার থেকে তৃণমূলে যাওয়া শ্রেয় বলে মনে করেছেন মুকুটমণি অধিকারী। তাঁর হতাশা বোঝাই যাচ্ছে।