Suvendu Adhikary : ‘যোগী জিতছে, তাই মাননীয়া মিডিয়ার সামনে আসবেন না’, দাবি শুভেন্দুর
Suvendu Adhikary : বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। বিধানসভায় শাসকদলের বিভিন্ন পদক্ষেপের কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
কলকাতা : সোমবার থেকে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে রাজ্যে। কিন্তু বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনেই ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে বিধানসভায়। পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে ওয়েলে নেমে বিভোক্ষ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়কেরা। এই বিক্ষোভের জেরে বিধানসভায় রাজ্যপাল কার্যত পুরো ভাষণ পাঠ না করেই বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যান। বুধবার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও মিহির গোস্বামীকে চলতি বিধানসভা অধিবেশনে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিধানসভার কাজে বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে এদিনের অধিবেশনে বিধানসভায় শাস্তির প্রস্তাব আনেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সংক্ষিপ্ত অভিযোগ, ৭ তারিখ বাজেট অধিবেশন কক্ষে কাজে বিঘ্ন ঘটিয়েছিলেন পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামী। এরপরই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে দু’জনকে সাসপেন্ড করেন। বিধানসভায় এহেন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আবার সরব হয়েছে বিজেপি শিবির। বিজেপি বিধায়কদের সাসপেনশনের বিরোধিতায় বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা। এই ঘটনার পর বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “শাসকদলের হিটলার, মুসোলিনিদের মতো আচরণ আমরা জানি। ”
নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেছেন, “বিধানসভা অধিবেশনে প্রথম দিন রাজ্যপালের বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। টেবিল হয়েছে। দ্বিতীয় দিন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মৃ্ত্যু নিয়ে শোকজ্ঞাপনের কথা ছিল। সেখানে আমরা অংশগ্রহণ করেছি। কিন্তু আমরা আশা করেছিলাম সাধন পাণ্ডে, যিনি বর্তমানে মন্ত্রী থাকা অবস্থায় মারা গিয়েছেন তাঁর শোক প্রস্তাব আলোচনা হবে। এর আগে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে নোশনে শোকপ্রস্তাব রাখার সবাই সুযোগ পেয়েছিল।” তিনি আরও বলেছেন, “সাধন পাণ্ডে নিয়ে শোক প্রস্তাব হলে আমাদের তরফ থেকে মনোজ তিগ্গা এবং আরও দুইজন বিধায়ককে তা নিয়ে আলোচনা করার দায়িত্ব দিয়েছিলাম। কিন্তু রীতি ভেঙে এইবার সাধন পাণ্ডেকে স্মরণ করার সুযোগ কোনও বিধায়কদের দেওয় হয়নি।” তিনি তাঁর কারণ হিসেবে বলেছেন, “এখানে একটাই পোস্ট। সেটা মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি নজরুল মঞ্চে তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করবেন তাই এখানে দুই মিনিটে হাউস শেষ হয়েছে।”
তিনি আরও বলেছেন, “ ৯ এবং ১০ তারিখ মাত্র আড়াই আড়াই পাঁচ ঘণ্টা রাজ্যপালের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের উপর আলোচনা ছিল। কাল হঠাৎ করে বিকেল ৫ টার পরে মনোজ তিগ্গাকে ফোন করে নির্মল ঘোষ বলেন কালকেই এই আলোচনা শেষ করতে হবে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, “কার থেকে এই নির্দেশ এসেছে সেটা বাচ্চা ছেলেরাও জানে। ১৪ তলা চাইছে আজকে সেরে ফেলতে।” তিনি কারণ হিসেবে বলেছেন, “ এগজিট পোল বলছে যোগী আদিত্যনাথ আসছে। কালকে বিজেপি সদস্যদের দিকে উনি তাকাতে পারবেন না। একদিকে বলছে বিজেপি উঠে গিয়েছে, বিজেপি হারছে..কত বড় বড় কথা। তারপরেও তাঁর মধ্যে ফিয়ার সাইকোসিস কাজ করছে যে উত্তর প্রদেশ এবং অন্যান্য রাজ্যে বিজেপি ভাল ফলাফল করবে তাই ১০ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি সদস্যদের সামনে বা মিডিয়ার সামনে আসবেন না।”
আরও পড়ুন : Madhyamik 2022: বড় খবর! মাধ্যমিকের তৃতীয় দিনেই হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা, কোন পথে রাজ্য?