West Bengal Assembly: সাসপেন্ড বিধায়ক! ওয়াক আউট করে বিধানসভায় তুলসী-বিক্ষোভ বিজেপির
West Bengal Assembly: কিন্তু বিজেপির সেই মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ করেন অধ্যক্ষ। তাঁর যুক্তি, বিচারাধীন বিষয় হওয়া এই নিয়ে আলোচনা সম্ভব নয়। তখনই চড়ে পারদ। স্লোগান তোলেন বিজেপি বিধায়করা। নেতৃত্ব দেন কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ ওঁরাও।

কলকাতা: সোমের সকালে উত্তাল রাজ্য বিধানসভা। মাঝ অধিবেশন থেকেই ওয়াক আউট বিজেপির। তারপর চলে বিক্ষোভ। এদিন বেলা ১২টা ৭মিনিটে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা।
কিন্তু কী কারণে এই সিদ্ধান্ত তাদের?
বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের ‘ভেঙে পড়া’ শিক্ষাব্যবস্থা, রাস্তায় চাকরিহারাদের অবস্থান, স্কুলে শিক্ষকের অভাব, সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি নিয়েই বিধানসভায় আলোচনার জন্য অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একটি মুলতুবি প্রস্তাব জমা দেয় রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল।
কিন্তু বিজেপির সেই মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ করেন অধ্যক্ষ। তাঁর যুক্তি, বিচারাধীন বিষয় হওয়া এই নিয়ে আলোচনা সম্ভব নয়। তখনই চড়ে পারদ। স্লোগান তোলেন বিজেপি বিধায়করা। নেতৃত্ব দেন কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ ওঁরাও। এরপরেই ওই বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন স্পিকার। সতর্ক করা হয় বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষকেও।
যার প্রতিবাদে বিধানসভা থেকে একে একে বেরিয়ে আসেন বিজেপি বিধায়করা। গাড়ি বারান্দায় এসে জমায়েত করেন তারা। তারপর সেখানে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। এমনকি, ওয়াক আউট-অবস্থান কালেও বঙ্গ বিজেপি ভোলেনি মহেশতলার কথা। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি মোতাবেক, তুলসী মঞ্চকে সামনে নিয়ে মিনিট ১৫ বিক্ষোভ চালায় গেরুয়া শিবির।
উল্লেখ্য, সোমবার বিধানসভা অধিবেশনের প্রথমার্ধ থেকেই উত্তাল হয়েছে পরিস্থিতি। এদিন প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীনই মুখ্যমন্ত্রী ভাষণ পর্বের মাঝে স্লোগান তোলেন বিজেপির শিখা চট্টোপাধ্যায় ও শঙ্কর ঘোষরা। মূলত, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সরব হতেই চটে যায় গেরুয়া শিবির। তারপর থেকেই দফায় দফায় গরম হয়েছে বিধানসভার আবহাওয়া।

