Calcutta High Court: কাঁথিতে সনাতনী সম্মলনে গ্রিন সিগন্যাল হাইকোর্টের, বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য
Calcutta High Court: বুধবার অক্ষয় তৃতীয়ার দিনই আবার দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিগত কয়েকদিন ধরেই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা সৈকত নগরী।

কলকাতা: চাপানউতোর চলছিলই। শেষ পর্যন্ত কাঁথিতে শর্তসাপেক্ষে সনাতনী ধর্ম সম্মেলনের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সর্বাধিক ৩ হাজার লোক নিয়ে করা যাবে সম্মেলন। নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। আয়োজকদের দাবি, প্রশাসনের কাছে বারবার আবেদন-নিবেদন করার পরেও দেওয়া হচ্ছিল না অনুমতি। শেষ পর্যন্ত তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন। সোমবার হয় শুনানি। মঙ্গলবার এল নতুন নির্দেশ। যদিও ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে চলে গিয়েছে রাজ্য।
বুধবার অক্ষয় তৃতীয়ার দিনই আবার দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিগত কয়েকদিন ধরেই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা সৈকত নগরী। জোর দেওয়া হচ্ছে নাকা চেকিংয়ে। পুরোদমে চলছে সিসিটিভি নজরদারি। অন্যদিকে সনাতনী সম্মেলন নিয়ে আদালতে অনুমতি নিয়ে মামলা উঠতেই সোমবারই কাঁথির ‘মহা সনাতনী ধর্ম সম্মেলন’ নিয়ে রাজ্যের তরফে জোরাল সওয়াল করতে দেখা যায় আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য়ের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে।
গোটা সম্মেলনের বাস্তবায়ন, পরিকাঠামো-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। মামলাকারীদের আবেদন পুলিশের তরফে খারিজ করা হয়েছে। জানিয়ে দেন কিশোর দত্ত। কিন্তু, কোনও সমস্য়াই হবে না। জোরাল সওয়াল করেন মামলাকারী আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য। বলেন, “স্থানীয় ক্লাবের তরফে বায়ো টয়লেট দেওয়া হচ্ছে। এক লাখ জলের প্যাকেটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যেখানে আমাদের কর্মসূচি পালন করা হবে সেখানে করলে অন্য কারো কোনো অসুবিধা হবে না।” ৫০টি বায়ো টয়লেট বসানোর টাকা কে দেবে? মেডিক্যাল ক্যাম্পের টাকা কে দেবে? কোনও হিসাব দেওয়া আছে? পাল্টা প্রশ্ন করেন কিশোর দত্ত। কথা ওঠে আরও একাধিক বিষয় নিয়ে। যদিও শেষ পর্যন্ত রায়দান স্থগিত ছিল।