Calcutta High Court: ‘ট্রামকে বাঁচাতে ৩ কোটি টাকার বেশি লাগবে না’, বড় পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের
Calcutta High Court: প্রধান বিচারপতি বলেন, "ট্রাম নিয়ে সদর্থক কিছু করুন। পিপিপি মডেল করা যায়। " তাঁর পরামর্শ, "বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ডাকতে পারে, তারা চাইলে কিছু বছর ট্রাম ব্যবহারের বদলে উন্নত মানের করতে পারে ট্রাম পরিষেবাকে।"

কলকাতা: কলকাতার ট্রামের উন্নতির জন্য তৎপর কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। কলকাতায় ট্রাম বাঁচিয়ে রাখার মামলায় তাঁর গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য, “ট্রামগুলোর যা অবস্থা তাতে তিন কোটি টাকার বেশি লাগবে না। আন্তর্জাতিক মানের করতে সুরক্ষা দিতে সুরক্ষা দিতে এটুকু টাকার প্রয়োজন।”
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি বলেন, “ট্রাম নিয়ে সদর্থক কিছু করুন। পিপিপি মডেল করা যায়। ” তাঁর পরামর্শ, “বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ডাকতে পারে, তারা চাইলে কিছু বছর ট্রাম ব্যবহারের বদলে উন্নত মানের করতে পারে ট্রাম পরিষেবাকে।”
পরিবহন দফতরের পক্ষ জানানো হয়, ট্রাম তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত এখনই নেওয়া হচ্ছে না। আদালতের নির্দেশ, “ট্রামের ট্র্যাকে পিচ দিয়ে বুজিয়ে ফেলার ঘটনা আর যাতে না ঘটে তা দেখতে হবে। কারা এমন কাজ করল জানতে চায় আদলত।”
তথ্য বলছে, কলকাতায় ট্রাম চলত ২৭-২৮টি রুটে। বছর ১৫ আগেও এক ডজন রুটে সচল ছিল ট্রাম। কিন্তু তারপর সে চিত্রে প্রচুর বদল এসেছে। ট্রামলাইনের জন্য দুর্ঘটনা ঘটার একাধিক অভিযোগ আসতে থাকে। শেষমেশ ট্রামকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। একাধিক জায়গায় ট্রাম লাইন বুজিয়ে ফেলারও অভিযোগ উঠছিল। শহরের রাস্তায় ট্রাম ফিরিয়ে আনার দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল একটি নাগরিক সংগঠন। তারা অভিযোগ করেছিল, রাস্তায় যাতে ট্রাম চলতে না পারে, তাই কালীঘাট, ভবানীপুর, জাজেস কোর্ট, খিদিরপুরে ট্রামলাইন পিচ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। তাতেই হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, ট্রামকে এভাবে তুলে ফেলা যাবে না। প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, “ট্রাম রাজ্যের ঐতিহ্য। তা তুলে দেওয়া খুব সহজ কাজ। কিন্তু রাজ্যকে ট্রাম বাঁচাতে উদ্যোগ নিতে হবে।” আর সেই পরিকাঠামো উন্নয়নে কত টাকা লাগতে পারে, সেটাও এদিন স্পষ্ট করে দিলেন প্রধান বিচারপতি।





