SSC Recruitment: তালিকায় পিছনে নাম, তবু নিয়োগ কেন? এসএসসির কাছে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট

Calcutta High Court: একইসঙ্গে এক পদের জন্য চারজনের নামে প্যানেল না করে বিশাল প্যানেল তৈরি করে রাখার কারণ কী তাও জানতে চেয়েছে আদালত।

SSC Recruitment: তালিকায় পিছনে নাম, তবু নিয়োগ কেন? এসএসসির কাছে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট
অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 27, 2021 | 8:14 AM

কলকাতা: মাধ্যমিক স্কুলে প্রকৃত প্রাপককে নিয়োগপত্র না দিয়ে তুলনায় তালিকায় পিছনে নাম রয়েছে এমন প্রার্থীকে নিয়োগের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার ভিত্তিতেই তলব করা হল এসএসসি-এর চেয়ারম্যান ও সচিবকে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে এ সংক্রান্ত হলফনামাও চেয়েছে আদালত।

শুক্রবার আদালতে এসএসসির চেয়ারম্যান জানান, যাঁকে নিয়োগপত্র দেওয়া নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে, সেই নিয়োগ বাতিল করেছে কমিশন। কিন্তু বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সেই নিয়োগ বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেন।

বরং বিচারপতি জানতে চান, কোন যুক্তিতে ওই ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হয়েছিল হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে এসএসসিকে। একইসঙ্গে এক পদের জন্য চারজনের নামে প্যানেল না করে বিশাল প্যানেল তৈরি করে রাখার কারণ কী তাও জানতে চেয়েছে আদালত। হলফনামায় এ বিষয়েরও উল্লেখ রাখতে হবে। ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতকে এই রিপোর্ট জমা দেবে কমিশন। ২০ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

এসএসসি নিয়োগ নিয়ে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। বর্তমানে বার বার শিরোনামে উঠে আসছে গ্রুপ ডি নিয়োগ-মামলা। কখনও সিঙ্গল বেঞ্চ, কখনও ডিভিশন বেঞ্চ, এই নিয়োগ নিয়ে রোজই আদালতে ছুটতে হচ্ছে মামলাকারীদের।

২০১৬ সালে রাজ্যে গ্রুপ ডি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। সেই মতো ১৩ হাজার নিয়োগ হয়। ২০১৯ সালের মে মাসে সেই গ্রুপ ডি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়। তারপরেও একাধিক নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ২৫ জনের নিয়োগের সুপারিশের কথা জানা গিয়েছে। সেই তথ্য হাইকোর্টের হাতে আসে। কী ভাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ নিয়োগ তালিকা থেকে নিয়োগ তারই কৈফিয়ত চায় হাইকোর্ট।

মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। গত বুধবার সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। তিন সপ্তাহের জন্য সিবিআই অনুসন্ধানে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত।

অন্যদিকে এই মামলাতেই প্রথমে ভুয়ো নিয়োগের কারণে ২৫ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার আরও ৫৪২ জনের বেতন বন্ধের কথা বলে কলকাতা হাইকোর্ট। এই সমস্ত নিয়োগও ভুয়ো বলেই অভিযোগ উঠেছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন নির্দেশ দেন, ভুয়ো নিয়োগের নথি খতিয়ে দেখে বেতন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিক এসএসসি।

সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবার ফের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কমিশনের বক্তব্য, তাদের কোনও কথা বলতেই দেওয়া হয়নি। তার আগেই এসএসসিকে ৫৪২ জনের বেতন বন্ধের পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে কমিশন জানায়, ‘আমরা এ ব্যাপারে হলফনামা দিতে চাইলেও তাতে অনুমতি দেয়নি সিঙ্গল বেঞ্চ।’ ডিভিশন বেঞ্চ মামলা গ্রহণ করে সোমবার মূল মামলার সঙ্গে শুনানির আশ্বাস দেওয়া হয়। এরই মধ্যে আরও এক নিয়োগ দুর্নীতির মামলা ঘিরে চাপানউতোর শুরু।

আরও পড়ুন: Kolkata municipal election 2021: কলকাতার পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী ক্ষিতি-তনয়া বসুন্ধরা গোস্বামী