Kolkata municipal election 2021: কলকাতার পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী ক্ষিতি-তনয়া বসুন্ধরা গোস্বামী

kmc election 2021: ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর প্রয়াত হন বাম আমলের মন্ত্রী আরএসপি নেতা ক্ষিতি গোস্বামী। ২০২০ সালের মার্চেই বসুন্ধরা গোস্বামী তৃণমূলে যোগ দেন।

Kolkata municipal election 2021: কলকাতার পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী ক্ষিতি-তনয়া বসুন্ধরা গোস্বামী
কলকাতা পুরভোটে প্রার্থী বসুন্ধরা গোস্বামী। ছবি ফেসবুক।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 27, 2021 | 7:43 AM

কলকাতা: এবার ভোটের ময়দানে প্রয়াত বাম নেতা ক্ষিতি গোস্বামীর মেয়ে বসুন্ধরা গোস্বামী। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় এই নাম নিঃসন্দেহে চমকে দেওয়ার মতো। কলকাতা পুরসভার ৯৬ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁকে প্রার্থী করেছে ঘাসফুল। কিছুদিন আগে তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় কলম ধরেছিলেন বসুন্ধরা। তখনই জল্পনা শোনা গিয়েছিল, শাসকদলে সক্রিয় হচ্ছেন ক্ষিতি-কন্যা। শুক্রবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা সামনে আসতেই সে জল্পনারই অবসান হল।

২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর প্রয়াত হন বাম আমলের মন্ত্রী আরএসপি নেতা ক্ষিতি গোস্বামী। পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের মার্চেই শোনা যায় প্রয়াত নেতার কন্যা বসুন্ধরা গোস্বামী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বসুন্ধরা এর আগে কোনও দিনই সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন না। বামফ্রন্টের সঙ্গেও যুক্ত থাকেননি কোনওদিনই।

তবে তৃণমূলে যোগ দিলেও খুব একটা ময়দানে নেমে রাজনীতি করতে বসুন্ধরাকে দেখা যায়নি। সেই বসুন্ধরাই হঠাৎ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসেন গত অগস্টে। সে সময় জাগো বাংলার হয়ে কলম ধরেছিলেন অপর বাম নেতা অনিল বিশ্বাসের মেয়ে অজন্তা বিশ্বাস।

‘বঙ্গ রাজনীতিতে নারী শক্তি’ শীর্ষক প্রতিবেদনে প্রাক স্বাধীনতা পর্ব থেকে সাম্প্রতিককালের রাজনীতিতে মহিলা রাজনীতিকদের অবস্থান প্রসঙ্গে একটি প্রতিবেদন লিখেছিলেন অজন্তা। সেখানে নাম উঠে এসেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অনিল বিশ্বাসের মতো একজন বাম নেতার মেয়ের তৃণমূলের মুখপত্রে লেখা প্রকাশ হতেই বাম শিবির থেকে গেল গেল রব ওঠে। কঠোর সমালোচনা থেকে কারণ দর্শানোর নোটিস, সবই ধরানো হয় অজন্তাকে।

সেই সময়ই শিরোনামে উঠে আসে বসুন্ধরা গোস্বামীর নাম। সে সময় অজন্তার সমর্থনে তিনিও জাগো বাংলায় কলম ধরেন। অজন্তাকে নিয়ে সিপিএমের অবস্থান ‘স্টালিনিস্ট আচরণ’-এর সমান বলেই উল্লেখ করেছিলেন তিনি। ক্ষিতি তনয়া বসুন্ধরা মনস্তত্ত্ববিদ।

বসুন্ধরা গোস্বামী সে সময় লিখেছিলেন, “এটা বাস্তব যে বঙ্গ রাজনীতিতে নারীশক্তি নিয়ে লেখা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া সম্পূর্ণ হতে পারে না। অজন্তা এটা লিখে কোনও ভুল করেননি। জাগো বাংলায় সম্পাদকীয় বিভাগও অজন্তার লেখায় বামপন্থীদের অংশ অটুট রেখে উদারতার পরিচয় দিয়েছেন।”

একই সঙ্গে বসুন্ধরার পর্যবেক্ষণ ছিল, “এ নিয়ে অজন্তাকে সিপিএমের আক্রমণ দেখে আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি ওরা স্টালিনিস্ট দল। ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। ওরা কন্ঠরোধ করে।…. সিপিএমের এইসব আচরণ বহু প্রতিভাকে বামফ্রন্টের স্রোত থেকে সরে যেতে বাধ্য করেছে। ওরা সবেতে চক্রান্তের গন্ধ দেখে। বদনাম করে। তারপরে শাস্তির পথে যায়। এই খেলা মানুষ ধরে ফেলেছেন। প্রকৃত বাম মনোভাবাপন্ন মানুষ কোনও অবস্থায় এটা মানবেন না। এই করতে করতে বামফ্রন্টকে সব দিক থেকে শূন্যে নামিয়েছে সিপিএম। তাতেও শিক্ষা হয়নি। অনুশাসনের নামে কুপমুণ্ডুকের রাজনীতি করতে ব্যস্ত। চিন্তাভাবনাকে জনমুখী সময়োপযোগী করার কোনও চেষ্টা সিপিএমের নেই।” সেই বসুন্ধরাকেই এবার কাউন্সিলর ভোটের ময়দানে নামালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: আগামী বছর টানা ১১ দিন পুজোর ছুটি, ২০২২ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ নবান্নের