Calcutta High Court: ভোলা, সুমন আর বাসন্তীকে বিহার থেকে ফিরিয়ে আনতে রাজ্যকে নির্দেশ হাইকোর্টের
Calcutta High Court: মামলাকারী কেপ ফাউন্ডেশনের বক্তব্য, ভিন রাজ্যে হাতি পঠাতে গেলে রাজ্যের বন দফতরের অনুমতি নিতে হয়। এক্ষেত্রে সেই অনুমতি নেওয়া হয়নি। এদিন সওয়াল শেষে বিহার সরকারের সঙ্গে কথা বলে হাতিগুলিকে রাজ্যে ফেরানোর নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিহারে পাচার করা হয়েছে ভোলা, সুমন আর বাসন্তীকে। তাদের খুঁজে বের করে বাংলায় ফিরিয়ে আনতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি রবিকৃষ্ণ কপূর এবং বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের বেঞ্চ জানাল, ভোলা, সুমন আর বাসন্তী পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সম্পত্তি। বিহারের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের ফিরিয়ে আনতে নির্দেশ দেওয়া হল রাজ্যের বন দফতরের প্রধানকে। আসলে ভোলা, সুমন আর বাসন্তী তিনটি হাতি। এদিন রাজ্যের উদ্দেশে আদালত জানায়, হাতি পাচার রোধে গা-ছাড়া মনোভাব নিলে চলবে না। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, “জীবজন্তুর প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য।”
হাতি পাচার নিয়ে কেপ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিল। তাদের বক্তব্য, অর্থের বিনিময়ে ২৪টি হাতি পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেআইনি ভাবে অন্য রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে ভোলা, সুমন এবং বাসন্তী নামে তিনটি হাতিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই তিনটি হাতি আগে নটরাজ সার্কাসে ছিল। ২০১৭ সালে এক উপহারপত্রের মাধ্যমে সার্কাস কর্তৃপক্ষ এই হাতিগুলিকে বিহারের গোপালগঞ্জ জেলার এক আশ্রমে পাঠিয়ে দেয়।
গোপালগঞ্জের আশ্রমের মহন্ত সত্যদেব দাসের দাবি, তিনি এখন এই হাতিগুলোর মালিক। অথচ ২০১৩ সালে নটরাজ সার্কাসের মালিকানার শংসাপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। ২০১৭ সালে তারা কী ভাবে হাতিকে আশ্রমকে দিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে।
মামলাকারী কেপ ফাউন্ডেশনের বক্তব্য, ভিন রাজ্যে হাতি পঠাতে গেলে রাজ্যের বন দফতরের অনুমতি নিতে হয়। এক্ষেত্রে সেই অনুমতি নেওয়া হয়নি। এদিন সওয়াল শেষে বিহার সরকারের সঙ্গে কথা বলে হাতিগুলিকে রাজ্যে ফেরানোর নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দুই বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশ, ভবিষ্যতে হাতি পাচার রুখতে সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে হবে।

