Calcutta High Court: ‘ওই পদে চাকরি করার যোগ্য নন’, শিক্ষিকার বদলি মামলায় DI-কে অপসারণের নির্দেশ
Calcutta High Court: পাশাপাশি আদালত মঙ্গলবার এটাও স্পষ্ট করে দেয়, আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যেই মামলাকারীকে বাড়ির কাছের স্কুলে বদলি করতে হবে। ৫ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন রাজ্যকে নির্দেশ কার্যকরের বিষয়ে রিপোর্ট জমা করতে হবে।
কলকাতা: শিক্ষিকার বদলি মামলায় ডিআই-কে অপসারণের নির্দেশ আদালতের। দুই সপ্তাহের মধ্যে মুর্শিদাবাদের ডিআই-কে অপসারণ করার নির্দেশ শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারিকে। এক শিক্ষিকার বদলি সংক্রান্ত মামলায় মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি বলেন, “ডিআই যে কাজ করেছেন, তা আদালত ভালো চোখে দেখছে না। ডিআই-কে পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।” সঙ্গে বিচারপতি এটাও স্পষ্ট করে দেন, অন্য দফতরে চাকরি করতে পারেন ডিআই। তাঁর কড়া মন্তব্য, “এই পদে চাকরি করার যোগ্য তিনি নন।”
পাশাপাশি আদালত মঙ্গলবার এটাও স্পষ্ট করে দেয়, আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যেই মামলাকারীকে বাড়ির কাছের স্কুলে বদলি করতে হবে। ৫ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন রাজ্যকে নির্দেশ কার্যকরের বিষয়ে রিপোর্ট জমা করতে হবে।
মামলাকারী নদিয়ার শিক্ষিকা বনানী ঘোষ। তিনি মুর্শিদাবাদের স্কুলে কর্মরত ছিলেন। বাড়ির কাছে বদলির আবেদন জানিয়ে আদালতের দারস্থ হন শিক্ষিকা। তাঁর বক্তব্য, সন্তান জটিল রোগে আক্রান্ত। এবং স্বামীও বিশেষভাবে সক্ষম। তাই বাড়ির কাছে বদলির আবেদন করেন ওই শিক্ষিকা।
কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শিক্ষিকা। মুর্শিদাবাদের ওই স্কুলে কত শিক্ষিক আছেন,জানতে চেয়ে ডিআই-এর রিপোর্ট তলব করে আদালত। শিক্ষকদের তালিকার সঙ্গে প্যারাটিচারের সংখ্যা যোগ করে রিপোর্ট দেন ডিআই।
সেই রিপোর্ট দেখেনই বিরক্ত হন বিচারপতি। কারণ ইতিমধ্যেই অন্য একটি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, বদলির ক্ষেত্রে টিচার ও প্যারাটিচারের সংখ্যা এক করা যাবে না। এই ভুল রিপোর্ট দেওয়ার জন্যই ডিআই -কে পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দেন তিনি।