AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TET মামলায় আরও কড়া হাইকোর্ট, বোর্ড সভাপতিকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ

TET: ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, টেটের ভিত্তিতে ১৬৫০০ শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে।

TET মামলায় আরও কড়া হাইকোর্ট, বোর্ড সভাপতিকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ
নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Sep 06, 2021 | 5:18 PM
Share

কলকাতা: এর আগে টেট (TET)-এর একটি মামলায় নিজের পকেট থেকে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি বোর্ডের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। সোমবার আবারও এই টেটেরই একটি মামলায় বোর্ড সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে যুক্ত করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালতের রায়ের অবমাননা করেছেন তিনি। কেন এই অবমাননা, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে তা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হল।

মামলাটি ছিল, টেটের ভুল প্রশ্ন ‘অ্যাটেন্ড’ নিয়ে। অর্থাৎ যে প্রশ্নগুলি নিয়ে বিতর্ক সেগুলির যদি কেউ উত্তর দেন, তা হলে তা ঠিক হোক বা ভুল নম্বর দিতে হবে বোর্ডকে। ২০১৮ সালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশ মানা হয়নি বলেই আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরি প্রার্থীরা। শুরু হয় আদালত অবমাননার মামলা। সোমবার সেই মামলার শুনানি চলাকালীন নির্দেশ দেওয়া হয় মানিক ভট্টাচার্যকেও এই মামলায় যুক্ত করা হোক। কেন তিনি আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়িত করেননি, কেন বিচারপতির নির্দেশ মানেননি তা জানতে চেয়েই এই মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকে যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তিন সপ্তাহের মধ্যে আদালতকে জবাব দিতে হবে। আগামী ৪ অক্টোবর ফের এই মামলার শুনানি হবে।

২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, টেটের ভিত্তিতে ১৬৫০০ শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। নির্দেশিকায় বলা হয়, ২০১৪ সালে টেট পাশ করেছেন যাঁরা তাঁরা আবেদন করতে পারবেন। এরপরই এই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যান বেশ কয়েকজন চাকরি প্রার্থী। তাঁদের আবেদন ছিল, ২০১৪ সালের প্রশ্নপত্রে ছ’টি ভুল প্রশ্ন করা হয়। তা সত্ত্বেও যাঁরা সেগুলির উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তাঁদের পুরো নম্বর দিতে হবে। হাইকোর্টের বিচারপতি এই মামলার রায় দিয়েছিল, যাঁরা ওই ছয় প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তাঁদের যেন নম্বর দেওয়া হয়। কিন্তু এখনও তা দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ।

আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ২০১৮ সালে রায় দিয়েছিল আদালত। সেই থেকে নিয়মিত মামলাকারীরা আদালতে যাতায়াত করছেন। আদালতের রায়কে পর্যন্ত মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না। গত শুক্রবারই এই একই বিষয়ে অন্য একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায় ছিল, মানিক ভট্টাচার্যকে জরিমানা দিতে হবে। আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, নিজের পকেট থেকেই জরিমানার টাকা দিতে হবে মানিকবাবুকে। প্রত্যেক মামলাকারীকে তিনি ২০ হাজার টাকা করে দেবেন। এবার আবারও এই টেট-মামলায় নতুন করে নাম জড়াল বোর্ড সভাপতির। আবারও আদালতের নির্দেশ অবমাননার কারণে মানিক ভট্টাচার্যকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তিন সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে জবাবও দিতে বলা হয়েছে। আরও পড়ুন: রাজ্যপালকে বার বার বারণ করলেও কথা শোনেন না, পিএসি-চিঠি নিয়ে প্রতিক্রিয়া বিমানের