Gautam Kundu: কী ভাবে বারবার অন্তর্বর্তী জামিন পাচ্ছেন গৌতম কুণ্ডু? আদালতের দ্বারস্থ সিবিআই

Rosevalley Scam: রোজভ্যালিকাণ্ডে ২০১৫ সাল থেকে জেলে রয়েছেন গৌতম কুণ্ডু। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন গৌতম-ঘরণী শুভ্রা কুণ্ডুও।

Gautam Kundu: কী ভাবে বারবার অন্তর্বর্তী জামিন পাচ্ছেন গৌতম কুণ্ডু? আদালতের দ্বারস্থ সিবিআই
বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন গৌতম কুণ্ডু (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 03, 2021 | 12:33 PM

ভুবনেশ্বর : সিবিআই (CBI)-এর মামলায় জেল হেফাজতে থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে বারবার অন্তর্বর্তী জামিন (Interim Bail) পাচ্ছেন রোজভ্যালি (Rosevalley)-কর্তা গৌতম কুণ্ডু (Gautam Kundu), সেই প্রশ্ন নিয়েই এবার আদালতের দ্বারস্থ হল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। আজ, বুধবার ভুবনেশ্বরের একটি আদালতে অভিযোগ জানান সিবিআই কর্তারা। বর্তমানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) ও সিবিআই দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার মামলাতেই জেল হেফাজতে রয়েছেন গৌতম কুণ্ডু। কিছুদিন আগেই তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এবার ফের তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাল সিবিআই।

ভুবনেশ্বরের খুরদা আদালতে সিবিআই-এর অভিযোগ, জেল হেফাজতে থাকা সত্ত্বেও গৌতম কুন্ডু কেন বারবার অন্তর্বর্তী জামিন পাচ্ছে? ইডি-র মামলায় অন্তর্বর্তী জামিনে থাকার সময় সাক্ষীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে গৌতম কুন্ডুর বিরুদ্ধে। এক কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তে জেল হেফাজতে থাকা সত্ত্বেও অন্য কেন্দ্রীয় সংস্থার থেকে কী করে অন্তর্বর্তী জামিন পাচ্ছে, সেই প্রশ্নই তুলেছে সিবিআই।

কিছুদিন আগেই মায়ের অসুস্থতার কারণে গৌতম কুণ্ডুকে সাত দিনের প্যারোল মঞ্জুর করে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণ কলকাতার একটি আবাসনের মায়ের কাছে ফিরেছিলেন তিনি। পরে ৭ তারিখে তিনি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ফিরে যান। প্যারোলে থাকাকালীন গৌতমের আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী আরও এক সপ্তাহ জামিন বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু ওই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক।

পরে আদালতে তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র গৌতমের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ইডি-র অভিযোগ ছিল, সাত দিন অন্তর্বর্তী জামিনে থাকাকালীন গৌতম মামলার সাক্ষীদের শাসানি দিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিল।

জানা যায়, রোজভ্যালির সংস্থার অধীনে থাকা দক্ষিণ কলকাতার একটি বিলাসবহুল হোটেল আছে। সংস্থার কয়েক জন ডিরেক্টর ওই হোটেল পরিচালনা করেন। ইডি-র অভিযোগ, প্যারোলে থাকাকালীন হুমকি দিয়ে ওই সংস্থার দুই ডিরেক্টরকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করেন গৌতম। তা ছাড়া আরও কয়েক জন সাক্ষীকে তিনি শাসানি দিয়েছেন বলেও তদন্তকারী সংস্থার কাছে অভিযোগ আসে।

সম্প্রতি, রোজভ্যালি মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। আগরতলা আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। ৪৬৪ কোটি টাকার প্রতারণা মামলায় দাখিল করা এই চার্জশিটে নাম রয়েছে রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর। গৌতম কুণ্ডু ছাড়াও চার্জশিটে নাম রয়েছে ডিরেক্টর অশোক সাহা, শিবময় দত্ত, রামলাল গোস্বামীর। এ ছাড়া চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে রোজভ্যালি সংস্থার সম্পত্তি রোজভ্যালি হোটেলস অ্যান্ড এন্টারটেনমেন্ট লিমিটেডের নামে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দাখিল করেছে সিবিআই।

রোজভ্যালিকাণ্ডে ২০১৫ সাল থেকে জেলে রয়েছেন গৌতম কুণ্ডু। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন গৌতম-ঘরণী শুভ্রা কুণ্ডুও। গৌতম কুণ্ডু গ্রেফতারের পর থেকেই রোজভ্যালি গোষ্ঠীর যত সম্পত্তি রয়েছে তার তালিকা তৈরি শুরু করে তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এর মধ্যে রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর বাড়ি, অফিস এবং তাঁর গচ্ছিত টাকার হিসাবও রয়েছে। বেশ কয়েকটি বাড়ি খালি করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আগেই। কিছুদিন আগে রোজভ্যালি গোষ্ঠীর ২৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি।

আরও পড়ুন : Gariahat Double Murder: মুম্বইতে ‍১০ হাজার চাকরিও জোগাড় করে ফেলেছিল! মুছে ফেলতে চেয়েছিল গড়িয়াহাটের জোড়া খুনের রক্তের দাগ