Gariahat Double Murder: মুম্বইতে ‍১০ হাজার চাকরিও জোগাড় করে ফেলেছিল! মুছে ফেলতে চেয়েছিল গড়িয়াহাটের জোড়া খুনের রক্তের দাগ

Gariahat Double Murder: জোড়া খুনের পর মুম্বইতে গা ঢাকা দিয়েছিল ভিকি। সেখানে ১০ হাজার টাকার নিরাপত্তারক্ষীর চাকরিতে যোগ দেয় সে। তার সঙ্গী শুভঙ্করও একই বেতনে যোগ দিয়েছিল।

Gariahat Double Murder: মুম্বইতে ‍১০ হাজার চাকরিও জোগাড় করে ফেলেছিল! মুছে ফেলতে চেয়েছিল গড়িয়াহাটের জোড়া খুনের রক্তের দাগ
গড়িয়াহাট জোড়া খুনে গ্রেফতার ভিকি (ডান দিকে) বা দিক থেকে প্রথমে মিঠু (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 03, 2021 | 11:34 AM

কলকাতা: কাঁকুলিয়া জোড়া (Gariahat Double Murder) খুন কাণ্ডে মুম্বই থেকে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদার। তাকে জেরা করে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

জোড়া খুনের পর মুম্বইতে গা ঢাকা দিয়েছিল ভিকি। সেখানে ১০ হাজার টাকার নিরাপত্তারক্ষীর চাকরিতে যোগ দেয় সে। তার সঙ্গী শুভঙ্করও একই বেতনে যোগ দিয়েছিল। মুম্বই গিয়ে মোবাইলও কেনে ভিকি। এমনকি সিম কিনেছিল ভুয়ো কাগজ দেখিয়ে। তাদের থেকে মোবাইল, সিম, নিয়োগপত্র বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা।

নের পর সুবীর চাকি ও তাঁর গাড়ি চালকের আঙুল থেকে সোনা ও রূপোর আংটি খুলে নিয়েছিল ভিকি। তা এক বন্ধুর কাছে জমা রেখেছিল। বিনিময়ে নিয়েছিল ৫ হাজার টাকা। আর সেই টাকাকেই পুঁজি করে বাণিজ্যনগরীতে পাড়ি দেয় ভিকি। খুনের প্রায় সপ্তাহ তিনেকের মাথায় মুম্বই থেকে কাঁকুলিয়া খুনের মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদার ও তার সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, খুনের পর এক বন্ধু-সম আত্মীয়ের কাছে গিয়েছিল ভিকি। সুবীর চাকি ও তাঁর চালকের আঙুল থেকে লুঠ করা আঙটি জমা রেখেছিল আর পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছিল। বলেছিল, পরে টাকা দিয়ে গয়না নিয়ে যাবে বলেছিল সে।

ভিকি ও তার সঙ্গী মোবাইল ব্যবহার করত না। কিন্তু অন্য এক জনের মোবাইল থেকে ওই বন্ধুকে ফোন করেছিল ভিকি। তখনই মোবাইল ট্র্যাক করে পুলিশ। মোবাইলের সূত্রেই জানা যায় ভিকি মুম্বইতে। সম্ভাব্য লোকেশন মেলে। তারপর মুম্বই রওনা দেন গোয়েন্দারা। মোবাইল সূত্রে জানা গিয়েছে, মেলা লোকেশন সংলগ্ন এলাকায় নির্মীয়মান বহুতলগুলিতে খোঁজ করেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় ভিকি।

খুনের পরে ভিকির খোঁজ পেতে রেলের থেকে ক’দিনের যাত্রী তালিকা চাওয়া হয়েছিল। শিয়ালদহ, হাওড়া থেকে দূরপাল্লার ট্রেনের সেই যাত্রী তালিকা থেকেই নাম মিলেছিল ভিকির। কাঁকুলিয়ায় সুবীর চাকি ও তাঁর চালককে একই দিনে খুন করা হয়। ঘটনার তদন্তে মেনে পুলিশ অন্যতম মূল অভিযুক্ত হিসেবে ভিকি ও তার মায়ের সন্ধান পায়। তার মা মিঠু হালদারকে গ্রেফতার করা হলেও ভিকিকে ধরা সম্ভব হচ্ছিল না। বারবার মোবাইল নম্বর বদলে পুলিশের চোখে ধুলো দিচ্ছিল সে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় গা ঢাকা দিয়ে থাকছিল। বারবার ডেরাও বদলাচ্ছিল। তাই তাকে নাগালে পাওয়া যাচ্ছিল না।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ অক্টোবর হাওড়া থেকে ট্রেনে ওঠে ভিকি ও তার বন্ধু। তারা পরেশনাথের টিকিট কাটে। তবে টিকিট কাটলেও পরেশনাথে নামেনি সে। এরপর সোজা চলে যায় মুম্বই। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতেই এমনটা করে বলে অনুমান পুলিশের। মুম্বইতে কালাচৌকি এলাকার একটি নির্ণীয়মান বহুতলে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করছিল সে। এ দিকে প্রথম থেকেই তার ওপর নজর ছিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাদের। প্রথমে পরেশনাথে গিয়েও তার সন্ধান পায়নি পুলিশ। পরে তারা মুম্বইতে যায়। গত শনিবার রাতে ভিকিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ভিকির মা মিঠু হালদার ও আরও তিনজনকে আগেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের জেরা করেই ভিকির খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চলছিল। কিন্তু পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ভিকি পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। এবার তাকে গ্রেফতার করার পর তাদের কলকাতায় আনা হচ্ছে। কলকাতায় আনার পর ভিকিকে জেরা করলে খুনের আসল রহস্য, খুনের কারণ জানা যাবে বলেই মনে করছে পুলিশ। কারণ, তার মা মিঠু আগেই পুলিশকে জানিয়েছিল যে ভিকির সঙ্গে বসেই খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: ‘বাংলার অবস্থা চিনের মতো হয়ে যাবে’, উপনির্বাচনে ৪ গোল খেয়ে হারের ব্যাখ্যা দিলেন দিলীপ