Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ধৃত ব্যক্তিই জ্ঞানেশ্বরী-কাণ্ডে ‘মৃত’ অমৃতাভ? ডিএনএ টেস্ট করবে সিবিআই

আজই মিলেছে অনুমোদন। অমৃতাভ ও তাঁর বাবার ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।

ধৃত ব্যক্তিই জ্ঞানেশ্বরী-কাণ্ডে 'মৃত' অমৃতাভ? ডিএনএ টেস্ট করবে সিবিআই
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jun 21, 2021 | 4:21 PM

কলকাতা: পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে এখনও। আর তা কাটাতে নানারকম পন্থা নিচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। তবে সঠিক পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষার পথই বেছে নিল সিবিআই। আজ, সোমবার অমৃতাভ চৌধুরী ও তাঁর বাবার ডিএনএ পরীক্ষার আর্জি জানিয়েছিলেন সিবিআই গোয়েন্দারা। সিবিআই আদালত সেই আর্জি মঞ্জুর করেছে। কয়েকদিনের মধ্যেই ডিএনএ পরীক্ষা হবে বলে জানা গিয়েছে।

এ দিন সকাল থেকেই অমৃতাভকে জেরা করছিল সিবিআই। তারপরই ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন বোধ করেন গোয়েন্দারা। রবিবারই অমৃতাভর জোড়াবাগানে পুরনো বাড়িতে যান সিবিআই গোয়েন্দারা। পারিবারিক পুরনো অ্যালবাম থেকে বেশ কিছু ছবি বাজেয়াপ্ত করেন। সেগুলি থেকে অমৃতাভর পুরনো চেহারা সঙ্গে বর্তমান চেহারার মিল খতিয়ে দেখেন। তন্তকারীরা নিশ্চিত হন, এই ব্যক্তিই অমৃতাভ। তাঁর হাতের লেখার নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। হাতের লেখা মিলিয়ে দেখা হবে। এ ছাড়া তাঁর স্কুল-কলেজের সহপাঠীদের সঙ্গেও কথা বলার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।

জেরায় অমৃতাভ জানিয়েছিলেন, তিনি ২০১০ সালে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে মুম্বইতে যাচ্ছিলেন। তাঁর সেই বয়ান খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, রেলের কাছে সিবিআই যাত্রীর তালিকা চাইবে। জেরায় আরও জানা গিয়েছে, অমৃতাভর গ্রামের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের কামারশাল এলাকায়। এখানে অমৃতাভর বাবা মিহির চৌধুরী একটি জমি কিনেছিলেন। সেই জমিতে প্রোমোটারি করছেন অমৃতাভ। ফ্ল্যাট বাড়ির তলায় ইতিমধ্যেই দোকান তৈরি করে বিক্রিও করা হয়েছে। গত শনিবার এই বাড়ি থেকেই কলকাতায় সিবিআই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন অমৃতাভ।

আরও পড়ুন: ভুরি ভুরি অভিযোগের প্রমাণ মিললেও হানকে ‘গুপ্তচর’ বলা যাবে না! আসরে নামল চিন

পাশাপাশি, তদন্তকারীরা এই বিষয়টি জানতে মরিয়া যে ঠিক কার বুদ্ধিতে রেলের সঙ্গে এত বড় প্রতারণা করতে পারলেন অমৃতাভ? এর পিছনে কোনও বড় মাথা নেই তো?জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত বিষয়ে রেলের কোন অফিসারেরা যুক্ত ছিলেন তাদের তালিকা চাওয়া হবে রেলের থেকে। সিবিআই মনে করছে গলদ সেখানেই। রেলের থেকে সেই অফিসারদের তালিকা পেলে তাদের তলব করা হবে নিজাম প্যালেসে।

২০১০ সালে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর নথিপত্রের মাধম্যে নিজেকে ‘মৃত’ দেখিয়ে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে অমৃতাভ। এরপর ভুয়ো ডিএনএ রিপোর্ট বানিয়ে রেলের চাকরি পাইয়ে দেয় নিজের বোনকে। সম্প্রতি রেলের অভ্যন্তরীণ অডিটে কারচুপির বিষয়টি নজরে এলে সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।