ভুরি ভুরি অভিযোগের প্রমাণ মিললেও হানকে ‘গুপ্তচর’ বলা যাবে না! আসরে নামল চিন
চিনে (China) ভারতীয় সিম কার্ড পাচার করা সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে হানের (Han Zeune) বিরুদ্ধে। আপাতত এসটিএফ (STF) জেরা করতে তাঁকে।
কলকাতা: দিনের পর দিন ভারতের তথ্য তুলে দেওয়া হচ্ছিল চিনের হাতে। ভারতের সিম কার্ড পাচার করা হচ্ছিল চিনে। মালদা থেকে গ্রেফতার হওয়া হানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। অথচ সেই হানকে গুপ্তচর বলাতেই বাধ সাধল চিন। ভারতে যখন হানের বিরুদ্ধে মামলা চলছে, তখন চিনের দাবি তাঁকে গুপ্তচর বলা যাবে না। ভারতে অবস্থিত চিনা রাষ্ট্রদূতের অফিস থেকে এমনই বিবৃতি জারি করা হয়েছ।
চলতি মাসে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয় চিনা নাগরিক হান জুনেইকে। মূলত গুপ্তচর বৃত্তিরই অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। কিছুদিন আগেই হানের তদন্তভার দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফকে। এমনকি চিনা নাগরিকের সঙ্গে চিনের সামরিক বাহিনীর যোগাযোগ থাকার সম্ভাবনাও ক্রমে জোরাল হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে হাওয়ালাযোগের বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু, সই হানকে ‘গুপ্তচর’ বলায় আপত্তি জানাল ভারতে অবস্থিত চিনা রাষ্ট্রদূতের অফিস।
হানের গ্রেফতারিকে ভারতীয় গোয়েন্দাদের ‘বড়সড় সাফল্য’ বলাতেও আপত্তি জানিয়েছে তারা। সংবাদমাধ্যমের ভূমিকাও ঠিক নয় বলে দাবি তাদের। কনসাল জেনারেলের অফিস থেকে জারি করা হয়েছে এই সংক্রান্ত বিবৃতি। সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে ওই চিনা নাগরিকের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য। বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয় সংস্থা যাতে ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চিনা নাগরিকের সঙ্গে সব ধরনের আচরণ করে ও তাকে সব ধরনের সুরক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে। চিনা রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে ওই নাগরিকের সমস্ত তথ্য চিনকে জানানোর কথা বলা হয়েছে বিবৃতিতে।
এ দিকে, পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ব্যক্তি ইংরেজিতে উত্তর দিলেও বহু তথ্য চেপে যাচ্ছে। তাই খুঁচিয়ে সব তথ্য বের করার জন্য দোভাষীর সাহায্য নেওয়া হবে। ধৃত ব্যক্তি সে ক্ষেত্রে চিনা ভাষাতেই উত্তর দিতে পারবে। সেটাই অনুবাদ করে বুঝিয়ে দেবেন দোভাষী। আরও জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির কাছে একটি অ্যাপল ম্যাকবুক রয়েছে। সেই ম্যাকবুকের পাসওয়ার্ডও এখনও পাওয়া যায়নি। হান নাকি জানিয়েছেন, তাঁর পাসওয়ার্ড মনে নেই। ওই পাসওয়ার্ড ফেলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আসবে বলে মনে করছে পুলিশ। হোটেল ছাড়াও ভারতে তাঁর মাংস রফতানির ব্যবসা রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, ভারতীয় সিম বিদেশে পাচার করার ও গুপ্তচর বৃত্তির।