কলকাতা: খবরটা এসেছিল কয়েকদিন আগে। সামনে আসে একটি ভিডিয়ো। যদিও যার সত্যতা যাচাই করেবি টিভি-৯ বাংলা। ভিডিয়োতে দেখা যায় একটি আবসনের ভিতর প্রচুর অটো ঢুকে গিয়েছে। অটোগুলির গায়ে উড়ছিল তৃণমূলের পতাকা। শোনা যায়, যে আবসনের ভিডিয়ো তা আদপে উল্টোডাঙার। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, “ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে আবাসনের ভিতরে অটো ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ আবাসনের যারা বাসিন্দা তারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। তৃণমূল এটাকেই গণতন্ত্র বলে মনে করে।” এবার এই ইস্যুতে মুখ খুলতে দেখা গেল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
এদিন মানিকতলা উপনির্বাচন সংক্রান্ত বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মমতা। সেখানেই উল্টোডাঙার আবাসনে অটো ঢোকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, বৈঠকে ওই এলাকার কাউন্সিলর শান্তিরঞ্জন কুণ্ডুকে রীতিমতো তিরস্কার করেন তিনি। কেন এই ঘটনা ঘটলো, কে সাহস দিয়েছে ওই অটোগুলিকে ওই আবাসনে ঢোকার? আমাদেরকে যে ভোট দেবে না তাঁদের পাশে গিয়ে বোঝাতে হবে, এভাবে তাণ্ডব চালালে সাধারণ মানুষ আমাদের পাশে থাকবে? এ প্রশ্ন তুলে ওই কাউন্সিলরকে রীতিমতো ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এমনকি ওই আবাসনের বাসিন্দাদের কাছে যেতে এবং তাঁদের সঙ্গে জনে জনে কথা বলতে। প্রয়োজনে ক্ষমা চাইতে। এই ধরনের ঘটনা মুখ্যমন্ত্রী কোনওভাবেই বরদাস্ত করবেন না সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে দেন তিনি। অটো ইউনিয়ন এত সাহস পেল কোথা থেকে? যদি কাউন্সিলর নির্দেশ না দেয়? রীতিমতো প্রশ্ন তুলে ওই কাউন্সিলরকে ব্যাপক ধমক দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সূত্রের খবর, শান্তিরঞ্জন কুন্ডু মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা বোঝানোর চেষ্টা করলেও মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বলেন, “কী ঘটনা ঘটেছিল আমি সব জানি। আমাকে যা খুশি বোঝানো হবে আমি সেটা বুঝব এটা যেন না ভেবে নেওয়া হয়।”