SIR-র আবহে জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক মুখ্যসচিবের, দিলেন বড় বার্তা

Chief Secretary meeting with District magistrates: এদিন মুখ্যসচিব জেলাশাসকদের বার্তা দেন, SIR-র জন্য বিশেষ করে গরিব মানুষের প্রকল্পের সুবিধা পেতে যেন কোনও সমস্যা না হয়। তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিশেষ করে বাংলা বাড়ি প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি খুঁটিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। নবান্ন সূত্রের খবর, গ্রামাঞ্চলের গরিব মানুষ যাতে বাংলা বাড়ি বা আবাস যোজনা থেকে বঞ্চিত না হয়। প্রকৃত প্রাপকরাই যেন বাড়ি পায়, তা নিশ্চিত করতে বলেছেন মুখ্যসচিব।

SIR-র আবহে জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক মুখ্যসচিবের, দিলেন বড় বার্তা
মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ (ফাইল ফোটো)Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Nov 07, 2025 | 6:45 PM

কলকাতা: জেলাশাসক থেকে বিডিও। বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত আধিকারিকরা। আর এই এসআইআর আবহে ব্যাহত হচ্ছে না তো উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ? উঠছে প্রশ্ন। এই পরিস্থিতিতে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ যাতে ব্যাহত না হয়, তা নিয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। উন্নয়নমূলক কাজ যাতে অব্যাহত থাকে, তা নিশ্চিত করতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব।

শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বিভিন্ন দফতর কেন্দ্রিক প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেন। ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন জেলাশাসকদের সঙ্গে। এসআইআর-র জন্য মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে এনুমারেশন ফর্ম বিলি শুরু হয়েছে। জেলাশাসক থেকে শুরু করে এসডিও এবং বিডিওদের যুক্ত থাকতে হচ্ছে SIR-র কাজে। যেকোনও জেলার জেলাশাসক ওই জেলার ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসারের (DEO) দায়িত্ব পালন করেন। ফলে জেলাশাসকদের এসআইআরের কাজে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে এদিন মুখ্যসচিব জেলাশাসকদের বার্তা দেন, SIR-র জন্য বিশেষ করে গরিব মানুষের প্রকল্পের সুবিধা পেতে যেন কোনও সমস্যা না হয়। তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিশেষ করে বাংলা বাড়ি প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি খুঁটিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। নবান্ন সূত্রের খবর, গ্রামাঞ্চলের গরিব মানুষ যাতে বাংলা বাড়ি বা আবাস যোজনা থেকে বঞ্চিত না হয়। প্রকৃত প্রাপকরাই যেন বাড়ি পায়, তা নিশ্চিত করতে বলেছেন মুখ্যসচিব।

রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, আর মাস ছয়েক পর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগে যাতে উন্নয়নমূলক কাজ থমকে না যায়, তার জন্য তৎপর রাজ্যের শাসকদল। তাই, প্রশাসনের তরফেও সেই তৎপরতা দেখা যাচ্ছে।