নন্দীগ্রামে আহত মমতা, মুখ্যসচিবের রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয় নির্বাচন কমিশন
সে দিন নন্দীগ্রামে (Nandigram) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে ঠিক কী হয়েছিল, কেউ দরজায় ধাক্কা দেওয়ার ফলে বন্ধ হয়েছিল কি না সেই সংক্রান্ত তথ্যও নেই রিপোর্টে
কলকাতা: নন্দীগ্রামে (Nandigram) প্রচারে গিয়ে আহত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata Banerjee)। দিন দুয়েক হাসপাতালেও কাটাতে হয়েছে তাঁকে। চোট কতটা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। আর হামলার অভিযোগ তুলেছে শাসক দল। তবে রাজ্য সরকারের তরফে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে সন্তুষ্ট নয় নির্বাচন কমিশন। তাই ফের রিপোর্ট তলব করা হল কমিশনের তরফে।
জানা গিয়েছে মুখ্যসচিবের কাছে দ্বিতীয়বার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। গতকাল যে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করা হয়েছিল তা যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছে কমিশন। আরও যথাযথ বিবরণ চাওয়া হয়েছে।
নবান্ন সূত্রের খবর, যে রিপোর্ট মুখ্যসচিব জমা দিয়েছে সেখানে লেখা আছে, হঠাৎ দরজা বন্ধ হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে চোট লাগে। প্রচুর মানুষের ভিড় ছিল বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু রিপোর্টে কোথাও স্পষ্ট উল্লেখ নেই, কী কারণে দরজা বন্ধ হল। কেউ দরজায় ধাক্কা দেওয়ার ফলে বন্ধ হয়েছিল কি না সেই সংক্রান্ত তথ্যও নেই। রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, রাস্তায় পিলার ছিল। শুক্রবার মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কমিশনে এই সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। রাজভবনেও এই রিপোর্ট জমা পড়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর আঘাত পাওয়ার ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যসচিব এবং ডিজিপির দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয় শুক্রবার। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে এসএসকেএম হাসপাতালে আনার পর যে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এমনকি, মুখ্যমন্ত্রী দেখতে গেলে এসএসকেএমে রাজ্যপালের গাড়ি লক্ষ্য করে যে জুতো ছোড়া হয়েছিল সেই বিষয়টি নিয়েও কথা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘প্রত্যক্ষদর্শীদের বাড়িতে গিয়ে ভাত খাচ্ছেন শুভেন্দু’, বিরুলিয়ার ঘটনায় এ বার অন্য মোড়
এরই মধ্যে অবশ্য নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নালিশ জানিয়ে এসেছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। শুক্রবার দিল্লিও গিয়েছিলেন তাঁরা। সৌগত রায়দের দাবি, ঘটনার কিছুদিন আগেই বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, নন্দীগ্রামে গেলে মমতা পড়বেন। তার আগে সৌমিত্র খাঁ সামাজিক মাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘কাল বিকাল পাঁচটার পর থেকে বুঝতে পারবে’। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, নন্দীগ্রামে গেলে মমতার স্কুটি উল্টে যেতে পারে। এই ঘটনাগুলি নিতান্তই কাকতালীয়ভাবে দেখতে নারাজ শাসক শিবির।