SSC Scam: স্মৃতি দুর্বল! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দিলেন স্বপ্না, অশোক, রেশমারা

TV9 Bangla Digital | Edited By: Moumita Das

Jul 26, 2022 | 5:32 PM

স্বপ্না একা নন, এই লড়াইয়ে সামিল অশোক, রেশমা সহ আরও অনেকে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের একটাই দাবি, "নিজের প্রতিশ্রুতি রাখুন।"

Follow Us

কলকাতা: স্বপ্না এখনও স্বপ্ন দেখে, হকের চাকির ও পাবেই। আর সেকারণেই দীর্ঘ আন্দোলন। হার না মানা লড়াই। বিকাশ ভবন থেকে মেয়ো রোড (প্রেস ক্লাবের পিছনে), পরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশ — স্থান বদলালেও বদলায়নি আন্দোলন। যোগ্য প্রার্থীর চাকরির দাবিতেই শিক্ষকদের আন্দোলন। বয়স হল ৪৯৯ দিন। স্বপ্না একা নন, এই লড়াইয়ে সামিল অশোক, রেশমা সহ আরও অনেকে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের একটাই দাবি, “নিজের প্রতিশ্রুতি রাখুন।”

সোমবার রাজ্য সরকারের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, এত কিছু ঘটে গেল কেউ কিছু জানাল না! ভাইরালের যুগেও তাঁর কানে কেন গেল না চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনের কথা, বিস্ময় খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বঙ্গভূষণ-বঙ্গবিভূষণ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে তো মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা ভাইরালের যুগ, কিছু জানতেই পারলাম না, কেউ কমপ্লেন করল না’। যার প্রতিক্রিয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই রুষ্ট আন্দোলনকারীরা।

এক চাকরিপ্রার্থীর কথায়, ‘ওঁনাকে কমপক্ষে ৩০০ চিঠি দেওয়া হয়েছে। আর আমরা পেয়েছি চার-চারটি প্রতিশ্রুতি দিবস। ২০১৯-এর ২৭ মার্চ আন্দোলনের ২৯তম দিনে মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেন স্কুল সার্ভিস কমিশন আসলে ঘুঘুর বাসা। তবু সব ঠিক হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। সম্প্রতি ইদের দিনও স্করপিও চেপে যাওয়ার আগে আশ্বাস দেন। এখন তো মনে হচ্ছে ওঁনার স্মৃতি বড়ই দুর্বল নাহলে চাপে পড়ে উনি এসব বলছেন’।

প্রতিশ্রুতি ভেঙেছেন গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। ২০২১-এ নাকি তিনি চাকরিপ্রার্থীদের সবকিছু ৪০ দিনের মধ্যে সকলকে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। বর্তমানে স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির পরতে পরতে যা রহস্যা উদঘাটিত হচ্ছে তাতে আরও কোনও আশ্বাসে ভরসা রাখতে পারছেন না আন্দোলনকারীরা। ঝড়-জল-শীত মাথায় করে তারা তাদের দাবিতে অনড়। ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগও নড়াতে পারেনি তাদের। মেয়ো রোডের একফালি নীল ত্রিপলের নীচে আন্দোলনকারীদের চোয়াল এখন আরও শক্ত। একের পর এক দুর্নীতি যখন প্রমাণিত হচ্ছে, তখন ওদের মুখে স্বস্তির ছাপ। অভিযোগ সব একে একে সত্যি হচ্ছে। তাদের আন্দোলনের ঝাঁঝ এখন আরও বেশি। দাবি আরও জোরালো, সব যোগ্য প্রার্থীরা নিজেদের চাকরিতে যোগ দিলে তবেই যেন জয় নিশ্চিত।

কলকাতা: স্বপ্না এখনও স্বপ্ন দেখে, হকের চাকির ও পাবেই। আর সেকারণেই দীর্ঘ আন্দোলন। হার না মানা লড়াই। বিকাশ ভবন থেকে মেয়ো রোড (প্রেস ক্লাবের পিছনে), পরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশ — স্থান বদলালেও বদলায়নি আন্দোলন। যোগ্য প্রার্থীর চাকরির দাবিতেই শিক্ষকদের আন্দোলন। বয়স হল ৪৯৯ দিন। স্বপ্না একা নন, এই লড়াইয়ে সামিল অশোক, রেশমা সহ আরও অনেকে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের একটাই দাবি, “নিজের প্রতিশ্রুতি রাখুন।”

সোমবার রাজ্য সরকারের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, এত কিছু ঘটে গেল কেউ কিছু জানাল না! ভাইরালের যুগেও তাঁর কানে কেন গেল না চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনের কথা, বিস্ময় খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বঙ্গভূষণ-বঙ্গবিভূষণ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে তো মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা ভাইরালের যুগ, কিছু জানতেই পারলাম না, কেউ কমপ্লেন করল না’। যার প্রতিক্রিয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই রুষ্ট আন্দোলনকারীরা।

এক চাকরিপ্রার্থীর কথায়, ‘ওঁনাকে কমপক্ষে ৩০০ চিঠি দেওয়া হয়েছে। আর আমরা পেয়েছি চার-চারটি প্রতিশ্রুতি দিবস। ২০১৯-এর ২৭ মার্চ আন্দোলনের ২৯তম দিনে মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেন স্কুল সার্ভিস কমিশন আসলে ঘুঘুর বাসা। তবু সব ঠিক হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। সম্প্রতি ইদের দিনও স্করপিও চেপে যাওয়ার আগে আশ্বাস দেন। এখন তো মনে হচ্ছে ওঁনার স্মৃতি বড়ই দুর্বল নাহলে চাপে পড়ে উনি এসব বলছেন’।

প্রতিশ্রুতি ভেঙেছেন গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। ২০২১-এ নাকি তিনি চাকরিপ্রার্থীদের সবকিছু ৪০ দিনের মধ্যে সকলকে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। বর্তমানে স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির পরতে পরতে যা রহস্যা উদঘাটিত হচ্ছে তাতে আরও কোনও আশ্বাসে ভরসা রাখতে পারছেন না আন্দোলনকারীরা। ঝড়-জল-শীত মাথায় করে তারা তাদের দাবিতে অনড়। ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগও নড়াতে পারেনি তাদের। মেয়ো রোডের একফালি নীল ত্রিপলের নীচে আন্দোলনকারীদের চোয়াল এখন আরও শক্ত। একের পর এক দুর্নীতি যখন প্রমাণিত হচ্ছে, তখন ওদের মুখে স্বস্তির ছাপ। অভিযোগ সব একে একে সত্যি হচ্ছে। তাদের আন্দোলনের ঝাঁঝ এখন আরও বেশি। দাবি আরও জোরালো, সব যোগ্য প্রার্থীরা নিজেদের চাকরিতে যোগ দিলে তবেই যেন জয় নিশ্চিত।

Next Video