CM Mamata Banerjee on teachers: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিজ্ঞপ্তি জারি করতেই হবে, কিন্তু পথ খোলা রেখেছি: মমতা
Mamata Banerjee news: পরীক্ষা ছাড়াই যোগ্য শিক্ষকদের তাঁদের চাকরিতে পুনর্বহাল রাখা যায়, সেই ব্যাপারে দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য সরকারকে। এমনই প্রস্তাব দিয়েছিলেন তাঁরা। তাহলে কি চাকরিহারাদের পুনরায় বসতে হবে বৈঠকে?

কলকাতা: সোমবার শিক্ষাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন চাকরিহারারা। ছ’জন প্রতিনিধি সেই সময় পরিষ্কার শিক্ষা সচিবকে স্পষ্ট করেন নিজেদের দাবি দাওয়ার বিষয়ে। পরীক্ষা ছাড়াই যোগ্য শিক্ষকদের তাঁদের চাকরিতে পুনর্বহাল রাখা যায়, সেই ব্যাপারে দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য সরকারকে। এমনই প্রস্তাব দিয়েছিলেন তাঁরা। তাহলে কি চাকরিহারাদের পুনরায় বসতে হবে বৈঠকে? কী ভাবছে রাজ্য সরকার? এরই মধ্যে মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় বিশেষ সাংবাদিক বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও নবান্নে উপস্থিত রয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বস্তুত, দেশের সর্বোচ্চ আদালত ইতিমধ্যেই পুরো প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল। নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেয় কোর্ট। তবে ফের পরীক্ষায় বসতে নারাজ চাকরিহারারা। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী নির্দেশ দেন সেই দিকেই থাকছে নজর। এক নজরে সকল আপডেট….
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আদালতের অর্ডার যদি আমি না মানি তাহলে চাকরিহারারা বিপদে পড়বেন। আমরা সাধ্যমত করে যাব। আমাকে আইন মেনে করতে হবে। এত ভয় পাচ্ছেন কেন? চাকরি করছেন, করে যান। চল্লিশ পেরিয়ে গেলে তাঁরাও পরীক্ষায় বসতে পারবে। এতদিনের কাজের অভিজ্ঞতাও কাজে লাগবে।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: এখনই এটা বলা উচিৎ নয় যে আমরা পরীক্ষা দেব না। এটা আমাদের অর্ডার নয়। কেউ কেউ নিজেদের স্বার্থে এই প্যানেল বাতিল করেছে। এখন তাঁরা বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করছেন। সুপ্রিম আদেশ অনুযায়ী অপশন ১ কাজে লাগান, অপশন ২-টাও কাজে লাগান। অ্যাপ্লিকেশন ফেলে রাখুন। পরীক্ষা দিন। আর সুপ্রিম কোর্টে গরমের ছুটি কাটলে রিভিউ পিটিশন নিয়ে সওয়াল করব। কিন্তু বিচার আমার হাতে নেই। এর দায়িত্ব বিচারপতির হাতে। আপনারা স্কুলে যাচ্ছেন যান। তার মধ্যে পরীক্ষাতেও বসুন।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: ৩০ মে শিক্ষকদের নোটিফিকেশন হবে। তারপর গ্রুপ-সি–গ্রুপ ডি দেখব।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: কিন্তু যাঁদের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, এবং যাদেরটা বাতিল করা হয়েছে। এবং যাঁদের বলা হয়েছে তোমরা এই পরীক্ষায় বসতে পারবে না তারা অন্য বিভাগে যোগদান করতে পারে, কোর্ট বলে দিয়েছে। শিক্ষা দফতরে লোক দরকার। ঘণ্টা বাজানো, রুম পরিষ্কারের লোক দরকার, তালা বন্ধ লোক নেই এই ঘটনার ফলে। সেই রকম যেমন অ্যাডিশানাল গ্রুপ সি-ডি নিচ্ছি, তেমন তাঁরা শিক্ষা দফতরে আবেদন করতে পারে তাছাড়া আমরা তিন চারটে ডিপার্টমেন্ট অপশন দেব। সেটা আলাদা করে নোটিফাই করব। কারণ ওটার সঙ্গে এটার চাকরি চলে যাক। আমরা চাই না কারও চাকরি চলে যায়। মানবিকতার স্বার্থে তাঁরা শিক্ষা দফতরে অ্যাপ্লাই করতে পারেন। এরপর আরও কয়েকটি বিভাগে অ্যাপ্লাই করতে পারেন। সেটা আমরা তিন চারদিন পর করে দেব
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: যাঁরা চাকরি করেছেন অথচ বয়স পেরিয়েছে, তাঁদের বয়সের জন্য আটকাবে না। এতদিন যাঁরা কাজ করেছেন তাঁদের অভিজ্ঞতার অ্যাডভানটেজ পাবেন।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: যাঁরা কাজ করছেন তাঁরা কাজ করে যান। প্রায় ১১ হাজার অ্যাডিশানাল ভ্যাকান্সি তৈরি করেছি নবম-দশমের জন্য। গ্রুপ সি-গ্রুপ ডি-র জন্যও অতিরিক্ত ভ্যাকান্সি তৈরি করা হয়েছে।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: রিভিউ-তে বিচার না পেলে ১৫ নভেম্বর প্যানেল এবং ২০ নভেম্বর কাউন্সেলিং। যা কোর্ট বলেছে তাই করতে হবে।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: সুপ্রিম অর্ডার অনুযায়ী, ৩১শে মে-র মধ্যে নোটিফিকেশন বের করব। আর রিভিউ পিটিশনে যদি ভাল অর্ডার পাই, তাহলে সেই অনুযায়ী যাব। এখন হাতে উপায় নেই, তাই এটা করছি।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমরা চাই চাকরিহারারা চাকরি ফিরে পাক। রাজ্য সরকারকে সকলের স্বার্থ দেখতে হয়।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমরা হাতে টাইম নিয়ে করেছি। নতুন পরীক্ষার জন্য ৩১ মে-র মধ্যে নোটিফিকেশন বের করতে বলা হয়েছে। তবে আমরা অপেক্ষা করছিলাম রিভিউ পিটিশনের শুনানির। যেহেতু রিভিউ হয়নি। রিভিউ পিটিশনের শুনানি হলে সেই অনুযায়ী যাব।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমরা যারাই সরকার চালাই, আমাদের প্রত্যেককে আইন মেনে চলতে হয়। সংবিধান মেনে চলতে হয়। আইনের বাইরে গিয়ে আমরা যদি নিজেদের মতো করি, সেটা অন্যভাবে কোর্ট নিতে পারে। আমরা ইতিমধ্যে রিভিউ পিটিশন করেছি। সুপ্রিম কোর্টে গরমের ছুটি চলছে। আমরা সঠিক সময়ে রিভিউ পিটিশন করেছি। আগের অর্ডার যদি আমরা বহন না করি তাহলে যদি ওরা বলে তোমরা অর্ডার মানোনি, সব বাতিল। এটা আমরা চাই না। আমরা সুপ্রিম নির্দেশ অনুযায়ী চলব।
