Suvendu Adhikari: মমতা বললেন, ‘আমি গ্রেফতার করিয়েছি’, অভিযুক্তদের পাশে বসিয়ে শুভেন্দু দিলেন বড় বার্তা
Suvendu attacks Mamata: হিন্দু হিসাবে তিনি তাঁর কর্তব্য করেছেন বলেই মকত শুভেন্দুর। তাঁরা যে শুরু থেকেই ধৃত যুবকদের পরিবারের পাশে আছেন সে কথাও বলেন। আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, “আমি বিধায়ক, বিরোধী দলনেতা, বিজেপির সদস্য এগুলো অনেক পড়ে। সবার আগে আমি একজন হিন্দু।”

কলকাতা: কৃষ্ণনগরের জনসভা ফের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। সুর চড়িয়েছিলেন ময়দানে প্যাটিসকাণ্ড নিয়েও। রবিবার গীতাপাঠের দিন ময়দানে এক প্য়াটিস বিক্রেতাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে কিছু যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার একটি ভাইরাল ভিডিয়ো ঘিরে চলছে তোলপাড়। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি টিভি৯ বাংলা। এদিন সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে বাঙালির উপর নিরামিষ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে দেখা যায় মমতাকে।
কৃষ্ণনগরের জনসভা থেকে মমতা বলেন, “আমি ওদের সব ক’টাকে গ্রেফতার করিয়েছি। এটা বাংলা, উত্তর প্রদেশ নয়। আপনারা বিজেপিকে কি ভোট দেবেন? ওরা মাছ-মাংস খেতে দেয় না। নিরামিষ চাপিয়ে দেয়।” এবার সেই যুবকদের জামিন মিলতেই পাশে বসিয়ে পাল্টা তোপ দাগেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর সাফ কথা, পশ্চিমঙ্গে যে সরকার চলছে সেটা একটা তোষণবাদ সরকার। আক্রমণের ধার বাড়িয়ে বলেন, “জঙ্গিদের যেভাবে গ্রেফতার করা হয়, ধর্ষকদের যেভাবে খোঁজা চেষ্টা করা হয় সেইভাবে সনাতন পরিবারের হিন্দু সন্তানদের ঠিক একইভাবে অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে মমতার পুলিশ গ্রেফতার করে।”
এরপরই খোদ মমতার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী দম্ভের সঙ্গে বলছেন ওদের আমি গ্রেফতার করিয়ে দিয়েছি। কিন্তু আপনি গ্রেফতার করানোর কে? আসলে বিচারের বাণী নিরবে নিভৃতে কাঁদে। এখনও ভারতে বিচারব্যবস্থা নিরপেক্ষ জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে বলে এই যুবকদের আজকে জামিন মিলেছে। অনেক আইনজীবী এদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।”
হিন্দু হিসাবে তিনি তাঁর কর্তব্য করেছেন বলেই মত শুভেন্দুর। তাঁরা যে শুরু থেকেই ধৃত যুবকদের পরিবারের পাশে আছেন সে কথাও বলেন। আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, “আমি বিধায়ক, বিরোধী দলনেতা, বিজেপির সদস্য এগুলো অনেক পড়ে। সবার আগে আমি একজন হিন্দু। হিন্দু পরিবারের সন্তান। আমার হিন্দু ভাই-বোন বিপদে পড়লে প্রথমে আমার ধর্ম রক্ষা করার কাজ করতে হবে। এটা আমাকে গীতা শিখিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আমার যাঁরা কোর্টে কেস দেখেন আমি তাঁদের ময়দান থানায় পাঠাই। অনেক আইনজীবী একসঙ্গে কাজ করেছেন। এদের পরিবারকেও আশ্বাস্ত করেছি। শেষ পর্যন্ত আমরা অত্যন্ত খুশি এরা জামিন পেয়েছে।”
