AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কয়লাকাণ্ডে আইপিএসের পর এ বার সিবিআইয়ের স্ক্যানারে আইএএস, নজরে জেলাশাসকরা

সিবিআই জানতে চায়, জেলায় এত বড় কয়লা পাচারচক্র (Coal Scam) চলে। জেলাশাসক আদৌ কিছু জানতেন কি না। 'উদাসীনতা' নাকি 'অভিসন্ধি', জানতে চায় তদন্তকারীরা।

কয়লাকাণ্ডে আইপিএসের পর এ বার সিবিআইয়ের স্ক্যানারে আইএএস, নজরে জেলাশাসকরা
ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Mar 02, 2021 | 3:15 PM
Share

কলকাতা: আইপিএসের পর এবার আইএএস। কয়লাকাণ্ডে সিবিআইয়ের নজরে তিন জেলাশাসক। মূলত যে সমস্ত জেলাকে সামনে রেখে কয়লা পাচারকারী অনুপ মাজি ওরফে লালার সাম্রাজ্যের বাড়বাড়ন্ত, সেই সমস্ত জেলার জেলাশাসকরাই সিবিআইয়ের নজরে। সূত্রের খবর, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস পাঠাবে সিবিআই।

মূলত পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমান জেলাকে স্ক্যানারে রেখেছে সিবিআই। ২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সালের একটা বড় সময় পর্যন্ত এই তিন জেলার ‘করিডর’ ধরে কয়লা কোথায় যেত, কীভাবে তা নিয়ে যাওয়া হত, সবই তদন্তকারীদের আতস কাচের নীচে। কয়লাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করার পর থেকেই মূলত দু’টি দিকে নজর রেখেছে সিবিআই। এক, অপরাধে কারা সরাসরি যুক্ত। দ্বিতীয়ত, কারা প্রশাসনিক সাহায্য করেছে। এই তিন জেলায় শুধু ইসিএলের জমিই নয়, মাঠ-জমি চুরি করেও সেখান থেকে কয়লা চুরি হয়েছে।

আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ডে এবার যোগী রাজ্যে সিবিআই, সেখানেও লালা-যোগ

সিবিআই জানতে চায়, এত বড় অপরাধ চক্র চলছে, জেলাশাসকরা কি তার একটুও আঁচ পাননি? কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি লুঠ হচ্ছে সরকারি এই আইএএসরা কি তা বুঝতেই পারেননি? যদি জানতেন, তা হলে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যদি না জানেন, তা হলে জেলার দায়িত্ব যাদের ঘাড়ে তারা এতটা ‘উদাসীন’ কী করে হলেন। এ সমস্ত প্রশ্নই সিবিআইয়ের নজরে। তার উত্তর পেতেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় জেলাশাসকদের। আপাতত তালিকা তৈরির কাজ চলছে। ২০১৭-২০২০ পর্যন্ত কারা কারা এই জেলাগুলির দায়িত্বে ছিলেন তা দেখা হচ্ছে। এরপরই নোটিস পাঠানো হবে।

গত শুক্রবার বাঁশদ্রোণীর ব্যবসায়ী রণধীর বার্নওয়ালের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। তাঁর অফিসের ল্যাপটপ ও কম্পিউটার থেকে ‘ডিজিটাল এভিডেন্স’ সংগ্রহ করা হয়। সেখান থেকেই সিবিআইয়ের কাছে আসে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী পুলিশ অফিসারের নাম। যাঁদের টাকা ঘুরপথে রণধীরে কাছে এসে পৌঁছত বলে খবর। সেই টাকাই নিজের বিভিন্ন ব্যবসার মাধ্যমে সাদা করতেন রণধীর।

ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এমন ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন। চিটফান্ড কাণ্ডে এর আগে রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তাদের ডাকা হয়েছে। কিন্তু সরাসরি একজন আমলাকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতির নজির সে অর্থে নেই। সারদাকাণ্ডে কিছু তথ্য জানার জন্য চিঠি পাঠানো হলেও নোটিস পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি এই প্রথম। এই প্রস্তুতি ইঙ্গিত দিচ্ছে, কয়লাকাণ্ডের বিস্তৃতির ব্যাপ্তি কতটা।

বঙ্গযুদ্ধ ২০২১: সব খবর পড়ুন এখানে